দিনাজপুর প্রতিনিধি: বিচারককে কটুক্তি করায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সাজাপ্রাপ্ত দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে আতœসমর্পণের পর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক।
গত ১২ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মেয়রকে এক মাসের কারাদন্ড ও একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।
এ ছাড়াও এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে দিনাজপুরের চীফ জুডিশিয়াল আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। অন্যথায় তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আজ বুধবার দিনাজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে আতœসমর্পণ করেছেন তিনি।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বুধবার ১ টার সময় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পায় হেটে কোটে গিয়ে দিনাজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। দিনাজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
নেতা কর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে কোর্টে যাওয়ার পর বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক আদেশে আমাকে এক মাসের কারাদন্ড ও ১লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। জরিমানার টাকা আগেই জমা দিয়েছি। তিনি বলেন, এই সরকার একেরপর এক ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধীদলের নেকা কর্মীদেরকে জেলে পুরছেন। জেল জুলুম ফাঁসী, মামলা হামলা দিয়ে এই সরকার তাদের পতন ঠেকাতে পারবেনা।
মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম এরআগে ভিজিএফএর চাল ওজনে কম দেয়ার মামলায় গ্রেফতার হয়ে ছিলেন। তিনি তিনবার মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। তিনি ৫টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি দিনাজপুর সরকারি কলেজে ১৯৯১ সালে অজয় হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। সেই মামলায় সাজাও হয়। পরে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় সেই সাজা থেকে রেহাই পান।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী জানান, আসামী দিনাজপুর পৌসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে দুপুৃরেই কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS