রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস।
রোববার (৯ এপ্রিল) শামস তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শামসের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার শুনানি করেন। তারা আদালতকে বলেন, একই অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় শামস জামিনে আছেন। এ ছাড়া শামস জামিনে গিয়ে পালাবেন না।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল একই আইনে রমনা থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় ঢাকার আরেকটি আদালত থেকে জামিন পান শামস।
গত ২৯ মার্চ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয় দিয়ে মামলার কথা বলে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন ভোর ৪টার দিকে আশুলিয়ায় আমবাগানের ওই বাসায় সিআইডির অভিযানের সময় সঙ্গে ছিলেন আশুলিয়া থানার (উপপরিদর্শক) এসআই রাজু মণ্ডল। শামসকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসার পর দুপুরের পরে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মো. গোলাম কিবরিয়া। এজাহারকারী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতা। মামলায় শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পরে রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকেও শামসের সঙ্গে আসামি করা হয়। পরদিন রমনা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শামসকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। পরে গত ৩ এপ্রিল রমনা থানার মামলায় শামসকে জামিন দেয়া হয়।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের সময় জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি দেয়া হয় একটি শিশুর। ১৭ মিনিটের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রথম আলো। খবরটি সংশোধন করে তারা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই একটি বেসরকারি টেলিভিশন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনটিতে যা পরিবেশন করা হয়েছে, সেটি ভুল। শিশু জাকির হোসেন আসলে দিনমজুর নয়, একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আর তার নাম সবুজ। টাকার বিনিময়ে তার ছবি তোলা হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS