সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে সিএনজি অটোরিক্সা মালিকদের দৈনিক জমা বৃদ্ধির অভ্র পায়তারা রুখে দাঁড়াও উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিতকল্পে দুর্নীতিমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত কর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০১৫ইং সালে যখন ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিক্সা মালিকদের দৈনিক জমা এবং মিটারের ভাড়া নির্ধারণী সরকার/মালিক ও শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় আলোচনা সভায় মূলতঃ শ্রমিক প্রতিনিধি ছিলই না। দু’একজন নামধারী শ্রমিক নেতা মালিকদের দালাল হিসাবে আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে চালকদের পক্ষে তেমন কোনো ভূমিকা না রাখার কারণে একতরফাভাবে মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ/মন্ত্রণালয় মালিকদের দৈনিক জমা ৯০০/- (নয়শত) টাকা নির্ধারণ করেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তখন থেকেই শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বিআরটিএ এবং মন্ত্রণালয়ে আবেদন নিবেদন করে আসছেন। এই গেজেট প্রকাশের পর ৪/৬ মাস সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০/- (নয়শত) টাকা মালিকগণ শ্রমিকদের কাছ থেকে নেন। তারপর দৈনিক জমা ১,০০০/ টাকা থেকে ১,১০০/- টাকা এক হাতে এবং ১,২০০/- টাকা থেকে ১,৪০০/- টাকা পর্যন্ত দুই হাতে নিতে থাকেন। আমরা তখন থেকেই মালিকদের এই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিআরটিএ এবং মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে আসছি। কিন্তু কোনো সুফলই পেলাম না। উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিতকল্পে দুর্নীতিমুক্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে মিটারে যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত অপ্রতুল। একদিকে মালিকদের অতিরিক্ত জমা আদায়, দফায় দফায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজী / মামলা/ রেকারিং সহ বিভিন্ন অত্যাচারে শ্রমিকদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।

করোনা সংক্রমন মোটামুটিভাবে কমার পর মালিকগণ তাদের দৈনিক জমা ১,১০০/- টাকা / ১,২০০/- টাকা এক হাতে এবং ১,৫০০/- টাকা থেকে ১,৮০০/- টাকা পর্যন্ত দুই হাতে চালকদের কাছ থেকে আদায় করছেন। এই অবস্থায় কোনো চালক প্রতিবাদ করলে তাকে গাড়ীর চাবি দেওয়া হয় না। এমনিতেই প্রতি গাড়ীর বিপরীতে ৩/৪ জন চালক বিদ্যমান। মানিকগণ এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করে চলছেন। মালিকদের এই অশুভ সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। ২০০২ / ২০০৩ সালে যখন বেবী ট্যাক্সি উচ্ছেদ করা হয় তখন ঢাকা মহানগরীতে ৩৬ (ছত্রিশ) হাজারের উপর বেবী ট্যাঙি ছিল। তার বিপরীতে ঢাকা মহানগরীর জন্য মাত্র ১৩ (তের) হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা সিলিং নির্ধারণ করা হয়। ঢাকা মহানগরীতে তখনকার জনসংখ্যার তুলনায় বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় তিন গুণ। সেইমতে বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সিএনজি অটোরিক্সা প্রয়োজন কমপক্ষে ৬০/৬৫ (ষাট/পঁয়ষটি) হাজার সরকার মালিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যে এই সিলিং বৃদ্ধি করছেন না। এর সুযোগ পুরোপুরি গ্রহণ করেছেন মালিকরা। শ্রমিকদের রক্ত চুষে তারা দিন দিন ধনী হচ্ছে আর শ্রমিকরা তাদের পরিবার-সন্তান নিয়ে ঠিকভাবে দু বেলা খেতে পারছেন না। আমরা ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা মালিকদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বরাবরই সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজও কোনো সুফল পাইনি। উল্টো মালিকরা তাদের দৈনিক জমা আরও বৃদ্ধির চেষ্টা তদবীর করে চলছেন।

-এম এস আই

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS