শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

অবশেষে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছেছে আইএইএ’র দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অবশেষে ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্ঝিয়ায় পৌঁছেছে আইএইএ। বৃহস্পতিবার তাদের কেন্দ্রটি ঘুরে দেখার কথা। যদিও দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিকে (আইএইএ) ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে তাদের পরমাণুকেন্দ্রটি ঘুরে দেখতে হবে। কিন্তু ঝাপোরিজ্ঝিয়া পৌঁছে সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, তারা চেষ্টা করবেন নিজেদের প্রতিনিধিকে সেখানে সর্বক্ষণের জন্য রাখতে। গোটা বিষয়টি যিনি দেখভাল করতে পারবেন।

তিনি জানিয়েছেন, ছয়মাস ধরে এই প্রকল্পে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে আইএইএ। এতদিন রাশিয়া তাতে রাজি হয়নি। শেষপর্যন্ত তারা অনুমতি দিয়েছে। বস্তুত, যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রকল্পটি দখল করে রাশিয়া। ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটিতে একাধিকবার বিস্ফোরণ হয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। আইএইএ চায়, কেন্দ্রটি থেকে সেনা সরিয়ে দিতে। কারণ, যে কোনো সময় পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। আর ঘটলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

ফেব্রুয়ারির প্রবল শীতে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ফের শীতকাল আসতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলি থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউক্রেন। বিশেষ করে, দোনেৎস্ক, খেরসন, খারকিভ এবং ঝাপোরিজ্ঝিয়া থেকে সকলকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইউক্রেনের বক্তব্য, শীতকাল পর্যন্ত যুদ্ধ গড়ালে ওই সমস্ত এলাকায় বেসামরিক মানুষদের নাগরিক পরিষেবা দেওয়া যাবে না। শুধু তা-ই নয়, হঠাৎ প্রয়োজন হলে ওখান থেকে মানুষদের সরানো যাবে না। তাই আগে থেকেই তাদের সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কেবল দোনেৎস্ক অঞ্চলেই এই অর্ডার জারি হয়েছে। তবে এরপর বাকি অঞ্চলগুলিতেও তা লাগু হবে বলে জানানো হয়েছে।

দুই দিন টানা আলোচনার পর অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ২০০৭ সালে হওয়া ভিসা চুক্তি বাতিল করা হবে। এর ফলে রাশিয়ার বেসামরিক সাধারণ মানুষেরও ইউরোপের ভিসা পেতে যথেষ্ট সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, ইইউ জানিয়েছে, এর ফলে রাশিয়ার নাগরিকদের ভিসার প্রক্রিয়া অনেক জটিল হয়ে যাবে। এবং সে কারণেই বহু মানুষ ভিসা পাবেন না।

ইইউ-র বেশ কয়েকটি দেশ আগেই এই কাজ শুরু করে দিয়েছিল। এবার সার্বিকবভাবে ইইউ এই সিদ্ধান্ত নিল।

সূত্র: ডিডাব্লিউ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS