আম উৎপাদনকারী এলাকা থেকে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ঢাকায় আম পরিবহনের জন্য তৃতীয়বারের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা ভায়া রাজশাহী রুটে ‘বিশেষ আম ট্রেন’ চালু হচ্ছে আজ।
কার্গো ট্রেনটি প্রতিদিন আটটি ওয়াগনে সর্বোচ্চ আম বহন করবে। সুতরাং, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামত পণ্য পরিবহন করতে পারেন। রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রেলপথের ১১টি স্টেশনে আম বোঝাই করার জন্য ট্রেনটি থামবে। পার্সেল বুকিং এবং আনলোডিং এর ওপর ভিত্তি করে পার্সেল ট্রেনের অন্যান্য স্টেশনে স্টপেজ থাকতে পারে।
রাজশাহী থেকে ঢাকায় এক কেজি আম বহন করতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৭ পয়সা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় ১ টাকা ৩০ পয়সা। প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে এবং রাজশাহী স্টেশন থেকে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে রাত ২টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘ঢাকায় আম পরিবহনের জন্য সোমবার থেকে ট্রেন চালুর সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের কল্যাণে কম খরচে আম পরিবহনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ ট্রেনে আম পরিবহনে প্রতি টন খরচ পড়বে এক হাজার একশ ১৭ টাকা। কুরিয়ার সার্ভিসের দাম প্রতি টন ২০ হাজার টাকা এবং প্রাইভেট ট্রাকে পরিবহন খরচ প্রতি টন প্রায় দুই হাজার টাকা।’
আম ছাড়াও বিশেষ ট্রেনে কম খরচে সব ধরনের শাকসবজি, মৌসুমি ফল, ডিম ও অন্যান্য কৃষিপণ্য বহনের ব্যবস্থা রয়েছে। রেলওয়ের পোর্টাররা পণ্য লোড-আনলোডের সব ধরনের কাজ পরিচালনা করবে। এই লক্ষ্যে, পোর্টারদের পণ্যগুলো বুকিং থেকে লোড করার পাশাপাশি সঠিকভাবে কী করে আনলোড করা যায় সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গত ২০২০ সালে চাষীদের পরিবহন সমস্যার প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো আম স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে যেখানে এ বছর দুই লাখ ৪৪ হাজার টন আমের ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নওগাঁ জেলায় ১২ হাজার ৬৭১ হেক্টর জমিতে আমের বাগান থেকে এক লাখ ৬১ হাজার ২৪২ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং নাটোর জেলায় চার হাজার ৮২৩ হেক্টর জমিতে ৫৬ হাজার ২১ টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply