লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দি সাধনা লায়ন্স সার্কাসের নামে অশ্লীল নৃত্য ও গানবাজনা। মাইকের প্রকট সাউন্ডে বিপাকে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। অবগত হয়েও নীরব দর্শকের ভুমিকায় প্রশাসন।
জানা যায়, গত ২৮ মে হাতীবান্ধার ডাকালীবান্ধা বাজার সংলগ্ন মাঠে দি সাধনা লায়ন্স সার্কাস চালানোর অনুমতি দেয় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। নামে সার্কাস খেলা হলে এখানে চলে অশ্লীল নিত্য ও প্রকট সাউন্ডে বিশ্রী সব গানবাজনা। ফলে লেখাপড়ার করতে পারছেনা কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এবিষয়ে প্রশাসনকে অনেকেই অবগত করলেও কোন আমলে আসছেনা।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে দি সাধনা লায়ন্স সার্কাস চালু হয়। শুরু থেকে সার্কাসটি খেলা দেখানোর কথা থাকলেও তারা দিনে তিনটি শোতে দেখানো হচ্ছে অশ্লীল নৃত্য। রাত যত গভির হয় সার্কাসে অশ্লীলতা তত বেড়ে যায়। এতে উঠতি বয়সি কোমলমতি শিশুদের মনে পড়ছে বিরুপ প্রভাব।
দি সাধনা লায়ন সার্কাস অনুমতির সময় লোকালয় থেকে দুরে চালানোর কথা থাকলেও ডাকালীবান্ধা বাজারের পাশেই স্টেজ করে চলছে এ সার্কাস। পাশেই রয়েছে মসজিদ আজান ও নামাজের সময়েও তারা চালাচ্ছে সার্কাস। এতে স্থানীয় ধর্মপ্রান মুসলমানদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ডাকালীবান্ধা এলাকার এসএসসি পরিক্ষার্থী আওলাদ হোসেন জানান, আগামী ১৯ জুন আমার এসএসসি পরিক্ষা। আমার মত প্রায় ২০ জন পরিক্ষার্থী আছে এই এলাকায়। আমরা সার্কাসের কারনে পড়াশুনা করতে পারছি না। রাতে যখনি পড়তে বসি তখনি শুরু হয় সার্কাসের গান বাজনা। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে সার্কাস বন্ধের আবেদন জানাই।
একই এলাকার ডাঃ এনামুল বলেন, আমরা নামাজ পড়তে পারি না, বিকট শব্দে নামাজ পড়তে সমস্যা হয়, আবার আজানের সময়ও তারা গানবাজনা বন্ধ করে না। এখানে রাতে পতিতাদের আসর বসে। জেলার বিভন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে নর্তকীদের নাচায়। এখানে দুইবার মারামারিও হয়েছে। এখনি যদি সার্কাস বন্ধ না করা হয় তাহলে যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সার্কাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবু খয়ায়ের মেম্বার বলেন, ডিসি সাহেব ও আমাদের এলাকার এমপি সার্কাস চালানোর অনুমতি দিয়েছে। হাতীবান্ধা থানার ওসি সকাল বিকাল খবর নেন। তাই সার্কাস চলছে। সার্কাসতো রাত দশটা পর্যন্ত চলার কথা তাহলে রাত ১২টা পর্যন্ত কেন চালান? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, কোন ধরনের অশ্লীলতা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে সার্কাস বন্ধ করে দেয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, অশ্লীল কোন গান বাজনার অনুমতি দেয়া হয়নি। আমি এখনেই কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply