রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: পাহাড়ে রক্তপাত হানাহানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে যা কিছু করা প্রয়োজন সরকার তার সব কিছুই করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাঙ্গামাটি সুখী নীলগঞ্জে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নস্ পার্বত্য আঞ্চলিক দপ্তর ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তুত স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চুক্তির আলোকে পাহাড়ের শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আর্মড পুলিশের এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পাহাড়ের যে সব ক্যাম্প থেকে সেনা বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছিলো সেই সব ক্যাম্পের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটিতে ডিআইজি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের আঞ্চলিক দপ্তর ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তুত স্থাপন করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, খাগড়াছড়ি জেলার সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ মামুন, চট্টগ্রামের জিওসি, এপিবিএনের আইজিপি হাসানুল হায়দার, ডিজিএফআই প্রধান মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ এবং তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসকগণসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান এই অঞ্চল সবসময় শান্তিপূর্ণ থাকুক। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও আমরা এই বিষয়ে সন্তু লারমাসহ এখানকার স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছি এবং আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধান হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু পার্বত্য এলাকা নয় সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিষয়ে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল। এখানকার কাজু বাদামের দেশব্যাপী একটি সুনাম রয়েছে। কাজু বাদামের চাষে পাহাড়ে বিস্তৃত করতে কিছু উদ্যোক্তা কাজ শুরু করেছে। আশা করছি আমরা এই বিষয়ে একটি সফলতা পাবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এপিবিএন পুলিশেরই একটি অংশ, তারা অত্যাধুনিক ট্রেনিংপ্রাপ্ত। তাদের নেতৃত্বে পাহাড়ে খুন, রক্তপাত বন্ধ করার পাশাপাশি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজী চক্রের সাথে কিছু বাঙ্গালীদের সম্পৃক্ততার কথা শোনা যাচ্ছে, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী কাজে যারাই জড়িত থাকুক তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে অবগত করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকলেক আহবান জানান।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply