আহত সৈনিকদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাদা এপ্রোনে চিকিতসাধীন সৈনিকদের দেখতে মস্কোর একটি হাসপাতালে গিয়েছেন তিনি। তিনি সৈনিকদের আশ্বস্ত করেছেন, “সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে”। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল এ তথ্য জানায়।
সাদা এপ্রোন পড়ে ডাক্তারদের সাথে নিয়ে ইউক্রেনে আহত সৈনিকদের দেখতে যান পুতিন। এ সময় তিনি আহতদের কাছে জানতে চান তারা ইউক্রেনের কোন অঞ্চল থেকে এসেছেন। এরপরেই তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আহত সৈনিকরা জানিয়েছেন, তারা পরিবারের সদস্যদের মুখ এখনো দেখেন নি।
গতকাল (২৫ মে) রুশ প্রেসিডেন্ট দেশটির নাগরিকদের মুদ্রাস্ফীতির হাত থেকে বাঁচাতে পেনশন ও শ্রমিকদের মজুরি ১০ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এ সময় হাসপাতালে সেবা নেওয়া সৈনিকদের বিষয়টি তার কানে আসে।
এ সময় পুতিন মানতে চান না ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সাথে দেশের সকল অর্থনৈতিক টানাপোড়েন জড়িত। গেল মাসেই রাশিয়ার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১৮ শতাংশের কাছাকাছি আসায় ক্রেমলিন নেতা পুতিন স্বীকার করেছেন যে চলতি বছর রাশিয়ার অর্থনীতির জন্য সম্ভবত কঠিন হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে স্টেট কাউন্সিলের এক টেলিভিশনে সাক্ষাতকারে তিনি জানান, “কঠিন” অর্থ এই নয় যে দেশের সমুদয় সমস্যা বিশেষ সামরিক বাহিনী পরিচালনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপের অনেক দেশ আছে যারা মিলিটারি অপারেশন চালাচ্ছে না, তাদের মুদ্রাস্ফীতি তো আমাদের (রাশিয়া) চেয়েও বেশি। সাক্ষাতকালে রুশ প্রেসিডেন্ট কিন্তু একটা সত্য এড়িয়ে গেছেন। রাশিয়ার-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে ইউরোপের দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা বাড়ছে, যার কারনে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, আগামী পহেলা জুন থেকে পেনশন ও মজুরি বৃদ্ধির নির্দেশনা কার্যকর হবে। কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, পুতিনের এ পদক্ষেপটি মানুষের আয়ের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে সক্ষম হবে না।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply