দক্ষিণী সিনেমার পর্দার জনপ্রিয় নায়ক বিজয়, যার পারিবারিক নাম জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর, এখন রাজনীতির মঞ্চে মোদির জন্য নতুন আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন। ‘থালাপতি’ উপাধিতে তিনি সিনেমায় রাজত্ব করেছেন, আর এবার বিশাল ভক্তশ্রেণি নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়াইয়ে নেমেছেন। পর্দার নায়ক থেকে এখন তিনি জনতার নায়ক হয়ে উঠেছেন।
২০০০-এর দশকের শুরু থেকেই বিজয়ের ভক্তসংগঠন সক্রিয় রাজনৈতিক জনসেবায় যুক্ত হয়। ‘বিজয় মাক্কাল ইয়াক্কাম’ নামে এই ফ্যান ক্লাব দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং আজ এটি ‘তামিলাগা ভেত্ত্রি কাজাগাম’ নামে রাজনৈতিক দলের রূপ নিয়েছে। এককভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিজয় এখন তামিলনাড়ুর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
মোদির বিজেপি দল মূলত হিন্দুত্ববাদ ও কেন্দ্রীয়ীকরণের রাজনীতি করে। কিন্তু বিজয়ের দল ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক ন্যায় ও বামপন্থার আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে। তামিলনাড়ুর মাটির রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই আদর্শগুলো মোদির কেন্দ্রীয় নীতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, টিভিকে-এর শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো এবং লাখো মানুষের সমর্থন মোদির রাজনীতির বিরূদ্ধে নতুন শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
বিজয়ের জনপ্রিয়তা কমানোর জন্য মাঝে মাঝে বিজেপি নেতারা হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করেন। তবুও থালাপতি বিজয়ের জনসমর্থন বেড়েই চলেছে। তামিল রাজনীতির ঐতিহ্যের সঙ্গে তার এই নতুন যাত্রা মোদিসহ অন্য রাজনৈতিক নেতা ও দলগুলো গুরুত্বসহকারে নজরদারি করছে।
২০২৬-এর নির্বাচনে একক লড়াই ঘোষণা ও মাদুরাই ইস্ট আসনে লড়াই করার ঘোষণাই বিজয়ের রাজনৈতিক সংকল্পের প্রতিফলন। পর্দার নায়ক থেকে জনতার নায়ক হয়ে উঠা বিজয়ের এই যাত্রা তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS