নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম জাতীয় কমিটির মহাসচিব কক্সবাজার এর উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের বার-বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ জনগন কর্তৃক মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মজলুম জননেতা এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বি’রুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ গতকাল বেলা ১২.০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর সহ সভাপতি কবি আবদুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে ও কবি টিমুনী খান রিনো এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক কর কমিশনার মীর্জা শরিফুল আলম, রাস্ট্র চিন্তক ও মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব উপাধাক্ষ লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জননেতা মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, জননেতা মিজানুর রহমান মিজু, নাসির উদ্দীন মোল্লা, নাট্যকার রাস্না হিমেল, লায়ন মীর আবদুল আলীম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মজুলম জননেতা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার ও দোসরদের জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বার-বার বিপুল ভোটে পরাজিত করে জনতার ভোটে এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে যদি ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা তাহলে জুলাই বিপ্লবের চেতনা ভুলন্ঠিত হবে এবং পালংখালীর আম- জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গত দু দিন ধরে স্থানীয় আমজনতা প্রতিবাদ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ও জনতার নেতা চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী তিন দিন বাড়ি থেকে বের হয় নাই, তিনি কিভাবে অপহরণ করবে? জুলাই বিপ্লবোত্তর সময়ে অনুষ্ঠিতব্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ জনগনের প্রত্যাশায় জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই চেয়ারম্যান এর জনপ্রিয়তা দেখে ষড়যন্ত্র করছে একটি কুচক্রী মহল। তারা একটা সাজানো অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল না হয় কিভাবে ৩০ মিনিটের মধ্যে অপহরণ কারীকে নিজেরাই উদ্ধার করতে সক্ষম হন, যেখানে প্রশাসন থেকেও দুই-তিনদিন লাগে সেখানে ৩০ মিনিটের মধ্যে রাস্তায় আগুন জালিয়ে অবরোধ করে উদ্ধার এর নাটক মঞ্চায়ন করা হয়। এইসব দেখে আমরা বুঝতে পারি এটা একটা পরিকল্পিত সাজানো পরিকল্পিত নাটক ছাড়া কিছুই না। শুধুমাত্র চেয়ারম্যান কে মামলায় ফাঁসানোর জন্য এইসব নাটক করছে তারা। চেয়ারম্যান দীর্ঘ ১৭ বছর মামলা হামলার শিকার হয়েছে, স্বৈরাচার এর পতনের পরেও কেন নির্যাতিত হবে, আমাদের দাবি আমাদের চেয়ারম্যান এর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা হোক, এবং আনোয়ার সিকদারকে যদি সত্যিই কেউ অপহরণ করে থাকে তাহলে মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মজলুম জননেতা এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী একদিনে তৈরি হয়নি। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যায় কিন্তু মনে রেখতে হবে থাকে দমিয়ে রাখা যাবে না, কারণ সাধারণ জনগণ তার সাথে আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে গফুর উদ্দিন এর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বুমেরাং হবে। গত ১০ জুন ২০২৫ ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন যথাক্রমে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী এবং স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবদুল গফুর মুন্না সহ স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, উখিয়ার বালুখালী বাজারটি উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর ফুফাতো ভাই জহির উদ্দিন চৌধুরী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সরকারী নিয়ম মোতাবেক ইজারা প্রাপ্ত হন। বালুখালী বাজারটি উখিয়ার ঘাট মৌজায় অবস্থান। অথচ উখিয়ার ঘাট মৌজা অতিক্রম করে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্বে পালংখালী মৌজার ২ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ময়নারঘোনা, মরাগাছতলা ও দারুদ তাওহীদ মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ইজারার নামে চাঁদা উত্তোলন করে আসছেন উপ-ইজারাদার আনোয়ার শিকদারের লোকজন। এতে তাদের হাতে বিভিন্ন সময় হয়রানীর শিকার ভুক্তভোগী লোকজনের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে মুল ইজারাদার জহির উদ্দিন চৌধুরীর নিকট ইউপির প্যাডে একখানা চিঠি প্রেরণ করে। যা বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নিকট অবগত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপ-ইজারাদার আনোয়ার সিকদার উল্টো তাকে জাতীয়তা সনদ দেয় নাই এবং চাঁদা দাবী করে হেনস্তা করেছি, কথিত অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ও কক্সবাজার কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে একটি চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অপর সংবাদ সম্মেলনে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর মুন্না বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সাজানো অপহরণ মামলার বাদী জৈনিক সরওয়ার সিকদার। আমি ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। আমার স্ত্রী মহিলা দলের দায়িত্ব পালন করছেন। আমি ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার আমলে ১৭টি বছর বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি যুবদল করেছি বলে। নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছি। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে যোগদান করেছি। এখন আওয়ামীলীগ নাই। নিজ দলের সুবিধাবাদী লোকদের ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা সাজানো মামলায় আমাকে আসামী করেছে। খুবই দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে এর বিচার দলের উর্ধ্বতন এবং দেশবাসীর নিকট দিলাম।
মানব বন্ধন ও সমাবেশে অপহরণ মামলায় স্থানীয় চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী সহ অপরাপর নিরীহ মানুষদের মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানান। মানববন্ধন ও সমাবেশে মানবাধিকার কর্মী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply