চার দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (১৬ মে) জুমার নামাজের পর কাকরাইল মোড়ে সমাবেশ শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে নামাজ শেষে সরাসরি আন্দোলনস্থলে সমবেত হন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বর্তমান-সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন। সাবেক শিক্ষার্থীরা একদিকে সরাসরি উপস্থিত থেকে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করছেন, অন্যদিকে যারা দূরে রয়েছেন তারা খাবার, পানি ও অর্থ সহায়তার মাধ্যমে সহমর্মিতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দাবি আদায়ে আন্দোলন আরও বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা নীরব কেন-এমন প্রশ্ন তুলেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামসুল আরেফিন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘এই আন্দোলন এখন আর কেবল কিছু দাবির আন্দোলন নয়; এটি জবির স্বপ্ন, স্বকীয়তা ও ন্যায্যতার আন্দোলন। সাবেক শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, এই সংগ্রাম আমাদের সবার।’
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে টানা তিনদিন ধরে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় আন্দোলন আরও বেগবান হচ্ছে।
চলমান আন্দোলনের চার দফা দাবি হলো—১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা। ২. জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া। ৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাশ ও দ্রুত বাস্তবায়ন এবং ৪. ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply