ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা নিবিড়ভাবে মনিটরিং এর জন্য ডিআইজি অফিসে একটি মনিটরিং সেল খোলা হবে। সেলে প্রত্যেকটি মামলার বাদী, ভুক্তভোগী, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা এবং পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রবিবার(১১ মে) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এসময় রেঞ্জের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, “ঢাকার প্রতিটি থানা ফাঁড়ি, জেলা পুলিশ সার্কেল অফিসসহ পুলিশের সব কার্যালয়ে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে। রেঞ্জের ৯৮টি থানার সেবা মনিটরিং করবো নিজেই। সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার সব থানা হবে জনগণের। বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ যে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাচ্ছে- এর পেছনে যার অবদানের কথা না বললেই নয়, তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী গর্বিত বাংলাদেশী ড. মুহম্মদ ইউনুস।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের প্রাচীন, অন্যতম বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ গঠিত হয়৷ ভৌগলিকভাবে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। কারণ, রংপুর বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য সকল বিভাগের সাথে ঢাকা বিভাগের সীমানা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা এই রেঞ্জের আওতাধীন জেলাসমূহ দ্বারা পরিবেষ্টিত।”
ঢাকা রেঞ্জের অধীনে সকল থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল এসপি অফিস হবে জনগণের- উল্লেখ করে ডিআইজি মল্লিক বলেন, “জনগণের সেবা করার জন্যই আমরা দায়িত্ব পালন করি। আমার রেঞ্জের অধীন সকল থানা হবে জনগণের। যে কোনো বিপদে First Responder. থানাকে জনগণের সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যারা ভূক্তভোগী এবং অসহায়, তাদের কথা আমি সরাসরি শুনতে চাই। তাদেরকে কী রকম আইনগত সহায়তা দেওয়া যায়, সেটি নিজে দায়িত্ব নিয়ে দেখবো। থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা রেঞ্জের প্রত্যেকটি থানা হবে ভুক্তভোগীদের প্রথম ভরসাস্থল।”
তিনি আরো বলেন, “অপরাধীর বিরুদ্ধে বা আমার অধীনস্থ পুলিশের বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ সরাসরি আমাকে জানাতে পারেন। আমার অফিসে নির্ধারিত সময়ে ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলার ৯৮টি থানার মানুষ আমার কাছে আসতে পারবে। রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট অফিসে যদি কাঙ্খিত সেবা না পায়, তাহলে আমি নিজেই তাদের কথা শুনে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”
তিনি বলেন, “ঢাকা রেঞ্জের জনগণের জন্য Talk to DIG নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করতে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো অপরাধের তথ্য বা সাহায্য প্রাপ্তির জন্য আমাকে জানাতে পারবেন। অ্যাপসে যারা তথ্য দিবেন, অবশ্যই তথ্যদাতার পরিচয় আমরা গোপন রাখবো। শিগগিরই অ্যাপসটি চালু করে আপনাদের জানানো হবে।”
ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল অফিস-এসপি অফিসে কোনো রকম অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “ঘুষ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য আমার রেঞ্জে বরদাশত করা হবে না। যে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি কঠোর হাতে দমন করা হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply