মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

জাপানে ভয়াবহ দাবানল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জাপানে এক ভয়াবহ দাবানলে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে, ৮০টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শত শত বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

উত্তরাঞ্চলীয় ইওয়াতে জেলার ওফুনাতো শহরের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে প্রচারিত আকাশ থেকে ধারণ করা ফুটেজে দেখা গেছে, উজ্জ্বল কমলা রঙের আগুনে বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়ে কয়লায় পরিণত হয়েছে।

এ ছাড়া স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘একটি পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তা কাছের একটি থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’

ওফুনাতো পৌরসভার তথ্যানুযায়ী, প্রায় ৬০০ বাসিন্দাকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্তত ৮৪টি ভবন এই দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ওফুনাতোর মেয়র কিয়োশি ফুচিগামি এই দাবানলকে ‘বড় আকারের’ বলে বর্ণনা করেন, যেখানে প্রায় দেড় হাজার একর জমি আগুনে পুড়ে গেছে, যা ইউরোপের দেশ মোনাকোর আকারের তিনগুণ।

মেয়র আরো বলেন, আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।

এএফপি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে জাপানে প্রায় এক হাজার ৩০০টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছিল, যার বেশির ভাগই ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংঘটিত হয়। ওই সময় বাতাস শুষ্ক হয়ে যায় ও হাওয়া বেড়ে যায়। ওফুনাতো শহরে এই মাসে এখন পর্যন্ত মাত্র ২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৯৬৭ সালে ফেব্রুয়ারির সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ৪.৪ মিলিমিটারের চেয়েও অনেক কম।

এ ছাড়া গত বছর জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর ছিল, যা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখেছে, যেখানে ক্রমবর্ধমান গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন আরো তীব্র হয়েছে।
সর্বশেষ ইওয়াতে এই দাবানলের ক্ষেত্রে ‘পশ্চিম থেকে আসা শক্তিশালী বাতাস’ একই এলাকায় একাধিক ছোট দাবানলকে দ্রুত ছড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফুচিগামি।

সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী এনএইচকেকে জানান, যখন তিনি কাজ থেকে ফিরছিলেন, তখন আগুন তার বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছিল। তিনি বলেন, ‘আমি স্বস্তি পেয়েছি, আমার সন্তানরা নিরাপদ আছে।’ ৩২ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তি গণমাধ্যমটিকে বলেন, ‘এত দ্রুত পরপর আগুন ছড়িয়ে পড়তে আমি এই প্রথম দেখলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS