মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সিলেট টিটিসি’র ক্ষমতাধর ইন্সট্রাক্টর ওমর ফারুকে বদলীতে সিলেটে মিষ্টি বিতরণ মাসুদ রানা সৌরভ সভাপতি, সোহাগ মাহমুদ সম্পাদক—জুলাই যোদ্ধা সংসদ এবারের বিজয় দিবস হোক জাতীয় জীবনে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন: প্রধান উপদেষ্টা রাজস্ব খাতে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ৭ জন অভিযুক্ত ২য় বর্ষ পেরিয়ে ৩য় বর্ষে সিএইচটি বার্তা গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিদায় সম্বর্ধনা ও নব যোগদানকৃত অফিসারের সম্বর্ধনা ভৈরবে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ নারী আটক ভৈরবে ২০ মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের সাথে ভিভো বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব হবিগঞ্জে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে ৮ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

ঋণ জালিয়াতি ও রেকর্ড খেলাপিতে জর্জরিত ব্যাংক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৩ Time View

বিগত সরকারের আমলে দেশের ব্যাংক খাতে একের পর এক ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এ খাতের খেলাপি ঋণ। এর ফলে দেশের ব্যাংক খাত অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এদিকে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের বেশি সময়ের ব্যাংকখাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামীলীগ আমলে প্রায় এক ডজন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছিলেন যে, রাজনৈতিক কারণে এসব লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর পর থেকেই ব্যাংকখাতে একের পর এক বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারি সামনে আসতে থাকে, এতে করে ব্যাংকখাতের দুর্বলতাগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এরপর ২০১০ সালের শুরুতে ব্যাংকখাতে অন্যতম চাঞ্চল্যকর ঋণ জালিয়াতির জন্য হলমার্ক গ্রুপের নাম সামনে আসে। অখ্যাত এই কোম্পানি কাগজপত্র জাল করে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক থেকে।

এরপরেই সামনে আসে বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারি। রাজনৈতিক বিবেচনায় এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তার সময়েই ব্যাংকটি ৪ হাজার কোটি টাকার উপরে ঋণ দেয় জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে।

প্রায় এক দশক আগে চেয়ারম্যান পদ থেকে বাচ্চুকে অপসারণ করা হলেও, এখনও চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে ব্যাংকটি।

সাম্প্রতিক সময়ে এসে, সম্পদের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে ব্যাপক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এই ব্যাংকের দখল নেওয়ার পর বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-ভিত্তিক এস আলম গ্রুপ শত শত কোটি ডলার পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সময়ে দেশের ব্যাংকখাত থেকে অন্তত ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এরমধ্যে এস আলম গ্রুপ ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS