বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল বিমানবন্দরটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। বর্তমানে এ বিমানবন্দরটিতে বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের আটটি করে ফ্লাইট প্রতিদিন ওঠানামা করে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও সামরিক বাহিনীর বিমানও নিয়মিত ওঠানামা করে এ বিমানবন্দরে।
অথচ বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ বিমানবন্দরটিতে।
বুধবার (২০এপ্রিল) বরিশাল বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরো বিমানবন্দরটির নিরাপত্তার জন্য দেওয়া সীমানাপ্রাচীর প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা নিচু ও জরাজীর্ণ। এছাড়াও মাত্র ৫-৬ ফুট উচ্চতার সীমানাপ্রাচীরের বিভিন্ন অংশে ভাঙা ও পূর্ব দিকের দেয়ালের একটি বড় অংশের ইট ভেঙে পড়ে বিশালাকার ফাঁকা তৈরি হয়েছে।
ফলে ওই ফাঁকা অংশটি দিয়ে স্থানীয়রা বিমানবন্দরের ভিতরে অনায়াসে ঢুকছে আর বেরোচ্ছে। অনেকেই আবার দেয়ালের ওই ফাঁকা অংশ দিয়ে ঢুকে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনছে।
আজ দুপুর ১২টায় দেখা যায়, বিমানবন্দরের রানওয়েতে একদিকে বিমান ছুটছে, অন্যদিকে সীমানাপ্রাচীরের ভাঙা অংশ দিয়ে ঘাস কেটে আনছেন ওই এলাকার মোতালেব শরীফ। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের সীমানাপ্রাচীর লাগোয়া আমাদের ঘর। দেয়াল ভাঙা থাকায় মাঝে মাঝে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনি। দেয়াল ভাঙা না থাকলে তো ভিতরে যেতাম না।’
বিমানবন্দরটি শুধু অরক্ষিতই নয়, রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর স্বল্পতা। ফলে সন্ধ্যার পর বিমান অবতরণ করতে পারে না। নানা সমস্যার পাশাপাশি বিমানবন্দরটি রয়েছে সুগন্ধা নদীর ভাঙনের কবলে। সুগন্ধা নদীর ভাঙন এরই মধ্যে বিমানবন্দরটির উত্তর প্রান্তে রানওয়ের ১শ গজের মধ্যে চলে এসেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে জানান স্থানীয়রা।
বরিশাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ১৬৩ একর জমির ওপর সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ৬ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও ১শ ফুট প্রস্থ রানওয়ে ও টার্মিনাল ভবন নিয়ে নির্মিত হয় বিমানবন্দরটি। ১৯৮৫ সালে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হলেও নানাবিধ জটিলতার কারণে বিমান চলাচল শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পরে ১৯৯৫ সালের ৩ ডিসেম্বর বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘এয়ারো বেঙ্গল এয়ারলাইন্স’ দিনের বেলা ঢাকা-বরিশাল রুটে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply