দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। এপ্রিলে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। মার্চে যার পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মার্চের চেয়ে এপ্রিলে ইসলামি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয় ৬৪৯ কোটি টাকা বা প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে।
ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর সর্বশেষ এপ্রিলভিত্তিক আর্থিক তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রেরণকারী শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার, ওমান ও বাহরাইন। অর্থাৎ শীর্ষ ১০ দেশের বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। এসব দেশ থেকে প্রবাসী আয় দেশে আনার ক্ষেত্রে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো সব সময় এগিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো ভালো করছে বলে খাতসংশ্লিষ্টরা জানান।
গত এপ্রিলে বৈধ পথে অর্থাৎ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে যত প্রবাসী আয় এসেছে, তার প্রায় ৪০ শতাংশই এসেছে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এপ্রিলে দেশের সব ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ২২ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, যা মোট প্রবাসী আয়ের ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
তবে প্রবাসী আয় আসা বাড়লেও একই সময়ে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ কমেছে। গত এপ্রিল শেষে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রপ্তানি আয় এসেছে ৭ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা ছিল মার্চের তুলনায় ২৪০ কোটি টাকা কম। মার্চে ইসলামি ধারা ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রপ্তানি আয় এসেছিল ৭ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এপ্রিলে ব্যাংকের মাধ্যমে সব মিলিয়ে দেশে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৪ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে রপ্তানির প্রায় সাড়ে ২২ শতাংশ অর্থ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, বর্তমানে দেশে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক রয়েছে ১০টি। সেগুলো হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। এর বাইরে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মধ্যে ১৬টি ব্যাংক ইসলামি শাখার মাধ্যমে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দেয়। আর ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে এ ধরনের সেবা দেয় ১১টি ব্যাংক। এসব ব্যাংক, শাখা ও উইন্ডোর আর্থিক তথ্যের ভিত্তিতে ইসলামি ধারার ব্যাংকিংয়ের হিসাব করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply