ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। এখনও নিখোঁজ অন্তত ২০ জন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রদেশ প্রশাসন জানায়, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর, শীতল লাভা লাভা গলে সৃষ্ট কাদায় আটকে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রয়েছে।
প্রাদেশিক উদ্ধার দলের প্রধান আব্দুল মালিক জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে প্রদেশের তিনটি জেলা ও একটি শহরে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস। এছাড়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যৎপাতের কারণে শীতল লাভার প্রবাহে বিভিন্ন স্থানে পুরু কাদার স্তর পড়েছে। লাভার ছাই, নুড়ি ও পাথরকণা মিলে এ কাদা তৈরি হয়েছে।
বৃষ্টি, বন্যা ও শীতল লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ বিএনপিবি জানিয়েছে, তিন জেলার দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপিবি প্রধান সুহারিয়ন্তো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যাদের বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং যারা দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বসবাস করছেন তাদেরকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে সরকার। বিএনপিবি ও পশ্চিম সুমাত্রা প্রাদেশিক সরকার এখন কতজন লোককে স্থানান্তরিত করতে হবে সে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য নিরাপদ এলাকা অনুসন্ধান করছে।’
সুহারিয়ন্তো আরও বলেন, ‘যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদেরকে সরকার জমি দেবে এবং সেই জমিতে ঘরও তৈরি করে দেবে। নতুন বাড়িগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে তৈরি হবে।’
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিএনপিবি আগামী সাত দিন নিখোঁজদের সন্ধান এবং প্রধান সড়ক পরিষ্কারের কাজ চালিয়ে যাবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপিবি’র শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যায় পশ্চিম সুমাত্রার ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি জেলার একটি তানাহ দাতারের প্রধান সড়কে উপড়ে পড়া গাছ, পাথর ও শীতল লাভা ছড়িয়ে রয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply