রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ‘প্রোঅ্যাকটিভ ট্রানজ্যাকশন মনিটরিং’ বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা আয়োজন করলো ট্রাস্ট ব্যাংক এবি ব্যাংকের স্থানান্তরিত কাকরাইল শাখার উদ্বোধন ময়মনসিংহ জেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় এমপি বাহার ও মেয়র সূচির ২৯ কর্মী সহ ৪৪ জন গ্রেফতার আমার জীবনী আঁকা : তাছলিমা আক্তার মুক্তা বিশ্বজুড়ে চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা, থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ফার্মা এইডস প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন

জরুরি ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান অসুখের চিকিৎসা দেশে নেই বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিদেশ নেয়া পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না বেগম জিয়া। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’

তিনি জানান, লিভারের সংক্রমণের কারণে বার বার পেটে পানি চলে আসছে বেগম খালেদা জিয়ার। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য এরই মধ্যে তাকে দুই দুই বার সিসিইউতে নেয়া হয়েছে।

এই চিকিৎসক বলেন, বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পযন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি; উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। ২ বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে বেগম জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না। উনার অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না।

টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বাংলাদেশে হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৬ ও ২০০৮ সালে বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।’

৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এছাড়া, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। শারীরিক অবস্থার তারতম্যের কারণে সম্প্রতি কয়েক দফায় বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের কেবিন ও সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে বিদেশে চিকিৎসার আবেদন করেন। এর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদন মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তবে আইন মন্ত্রণালয় এই আবেদন নাকচ করে মত দেয়। বলা হয়, তাকে বিদেশে যেতে হলে জেলে গিয়ে পরে আদালতে আবেদন করতে হবে।

দুটি মামলায় সাজা হওয়ায় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকায় তিনি কারামুক্ত রয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ের পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন একই আদালত।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর থেকে মুক্তির মেয়াদ বাড়তে থাকায় তাকে আর কারাগারে যেতে হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS