হরিপুর (ঠাকুরগাওঁ) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হতে ৬০ কিঃ মিঃ দক্ষিন পশ্চিম কোনে হরিপুর উপজেলা চলতি মওসুমে আমন ধান রোপন করতে গিয়ে দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এ বছর শুরু থেকেই বৃস্টি পাত কম হচ্ছে।
চাষিরা জানালেন যে, আমন ধানের বীজ তোলা তৈরী করতে স্যালো ম্যাশিন,সেচ পাম, গভির নলকুপের পানি দিয়ে বীজ তোলায় বীজ বপন করতে হয়েছে। এলাকার চাষিরা বুক ভরা আশা নিয়ে বীজ তোলায় বীজ বপন করেছিল। আষাঢ় মাসের ১৫ থেকে শেষ শ্রাবণ পর্যন্ত ধান রোপনের কাজ সমাপ্ত করার কথা ভাবছিল। প্রকৃতির বৈরী
আবহওয়ার কারনে আমন ধান রোপন শত ভাগ সফলতা অর্জন করার জন্য কৃষক স্যালো ম্যাশিন, সেচ পাম্প, গভির নলকুপের পানি দিয়ে পুরো দমে ধান রোপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। রাত জেগে জেগে শুকনো জমিতে পানি দিয়ে বিরাম হীন ভাবে ধান রোপনের কাজ অনেক দুর এগিয়ে চলেছে বলে জানাগেছে।
হলদি বাড়ি গ্রামের মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মোঃ মাঝারুল ইসলাম দামোল গ্রামের মোঃ রহমত আলী, নজরুল ইসলাম, আরো অনেক সেচ পাম্প মালিক গণ প্রতিবেদকে জানালেন যে, এই মওসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো না। আসে আর যায় কৃষক সেচ পাম্প, গভির নলকুপ চালক গণ অশান্তি ভোগ করছে ।
লহুচাঁদ গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলাম জানালে যে, এবছর বৃস্টি পাত কম, অপর দিকে ঠিক মত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না । যে, টুকু পাওয়া যায় তা দিয়ে চাষ আবাদ করতে কষ্ট পেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমন ধান রোপন করতে পারিনি ।
অপর দিকে বীরগড় গ্রামের মোঃ হাফিজ উদ্দিন সাবেক ম্মেবার বলেন যে, এবছর আমন ধান রোপ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে। রাসাইনিক সারের দাম বেশী, জালানী তেলের মুল্য বেশী ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, ধানরোপন শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি, সব চাইতে দুর্ভোগে ফেলেছে বিদ্যুৎ আসে আর যায়। রোপ কৃত ধানের ক্ষেত গুলোতে সময় মত সেচ, বৃস্টির পানি না হওয়ায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। রাত জেগে জেগে মশার দংশন সয্য করে ধান ক্ষেতে পানি দিতে হয় বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস এর সহিত যোগা যোগ করলে জানান যে, সেচ পাম্প ৫৩০টি, গভির নলকুপ ১৪৩টি, হাসকিং মিল /ক্ষুদ্র শিল্প ৩৩৫টি. আবাসিক ৩৬৯০০, বানিজ্যিক ২৬৮৫, বিদ্যুতের চাহিদা ৭.৫ মেঃঘাঃ, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাই ৩.৫ মেঃঘাঃ বিষয়টি জানালেন সাব জোনাল অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান।
অপর দিকে কৃষি অফিসার মোঃ রুবেল হুসেন এর সহিত যোগা যোগ করলে Economic News24
কে জানান যে, আবাদি ভূমির পরিমান ১৮০০০ হেঃকঃ, আমন ধান আবাদের লক্ষত্রা ১৬০৬৪ হেঃকঃটর, লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৫১০ হেঃকঃটর, অবশিষ্ট আছে ৯৬৪ হেঃকঃটর, প্রথমে আমি পল্লিবিদ্যুৎ ,বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষণিক গভির নলকুপ,সেচপাম্প ,স্যালোম্যসিন গুলো চালু রাখতে সহয়তা করার জন্য অনুরোদ করেছি।কৃষকদের সম্পুরোক সেচ দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply