বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন

পুলিশের উপর দোষ চাপিয়ে জমি দখলের পায়তারা 

রেজাউল
  • আপডেট : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: পুলিশের উপর দোষ চাপিয়ে জমি দখলের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী বাজার এলাকার ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, তালুক পলাশী বাজার এলাকার মৃত তসর উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় তার সহায়সম্পত্তি গুলো ৬ ছেলে ও ৩ মেয়েকে সমান ভাগে ভাগ-বাঁটোয়ার করে দেন। সেখান থেকে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২৪ শতাংশ ও ভাইবোনের কাছ থেকে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন জোনাব আলী। যা স্থানীয়রা অনেকেই জানান। এদিকে ওই ৪০ শতাংশ জমি নিজের বলে দাবী করে তা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছেন চিহ্নিত ভুমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে ঝামেলার সৃষ্টি হলে আদালতের আশ্রয় নেন জোনাব আলী। শুনানি শেষে আদালত ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করেন।

এদিকে গত ৭ই মার্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া শতাধিক ভাড়াটিয়া লোকসহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবারও সেই জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। 

দেশিয় অস্ত্র সজ্জিত শতাধিক ভাড়াটিয়া দেখে জোনাব আলী ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সার্থে জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি খুব দ্রুত বসে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জোনাব আলীর মধ্যস্থতায় মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আদিতমারী থানা পুলিশ।

এরপর বাড়িতে এসে ৪ ঘন্টাপর সদর হাসপাতালে যান জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়া। সেখানে ভর্তি ছাড়াই হাসপাতালের বিছানায়শুয়ে তাদেরকে থানায় মারধর করে কান ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ও সাজু মিয়াকে পুলিশের মারধরের বিষয়ে তারা দুজন ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিলেও মেডিকেলে ভর্তি বা ছাত্রপত্র দেখাতে পারেনি। তবে এলাকাবাসী অনেকেই নাম নাপ্রকাশ করার শর্তে বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওই জমি আবারও দখলের চেষ্টা করছেন তারা দুজন। তাদেরকে পুলিশের মারধরের বিষয়টি একটি সম্পুর্ণ সাজানো নাটক।

এ বিষয়ে আদিতমারী থানার তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এর কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যের পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা করার কারনে তাদের আইনের আওতায় নেয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে জাহাঙ্গীর দ্রুত সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিলে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিযোগ কারীর জিম্মায় তাকে দিয়ে দেয়া হয়। তাকে কোন মারধর করা হয়নি। বিশেষ সুবিধা না পেয়েই তিনি পুলিশকে প্রতিপক্ষ করে মনগড়া তথ্য দিচ্ছে। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS