পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেছিলেন, আজাদি মার্চ ইসলামাবাদের ডি-চকে পৌঁছাবার পর তিনি ও তার সমর্থকেরা সেখানে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখাবেন। সরকার নির্বাচনের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
টিভি চ্যানেল ৯২নিউজ-এ এক সাক্ষাৎকারে ইমরান জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কা করছিলেন এবার রক্তপাত হবে। সরকার অত্যন্ত কড়াভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছিল। তারা সেনা নামিয়ে দিয়েছিল। তার সমর্থকদের একাংশের সঙ্গে অস্ত্র ছিল। ফলে হাঙ্গামা শুরু হলে রক্তপাত অনিবার্য ছিল। আর বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা হলে সরকারের সুবিধা হতো।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে আমার সমর্থকদের ঘৃণা বাড়ছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, নিরাপত্তা বাহিনী এবার গুলি চালাবে। আমাদের কিছু সমর্থকের কাছেও বন্দুক ছিল। তারাও তৈরি হয়ে ছিল। এর ফলে দেশের ঐক্য নষ্ট হতে পারতো। দেশ নৈরাজ্যের দিকে যেত।’
ইমরান জানিয়েছেন, তার দল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাচ্ছে। তারা সর্বোচ্চ আদালতের কাছে জানতে চাইবে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যাবে কি না? সুপ্রিম কোর্ট এই মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে কি না? ইমরানের মতে, এবার সুপ্রিম কোর্টেরও পরীক্ষা হবে।
সোমবার পেশোয়ারে আইনজীবীদের সভায় ইমরান বলেছেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট তাদের সুরক্ষা দিতে না পারে, তাহলে তারা কৌশল বদল করবেন। এবার তারা প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু পরের বার প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামবেন। এটা তার কাছে জিহাদ। এই সরকারকে তিনি কোনোভাবে বরদাস্ত করবেন না।
ইমরান জানিয়েছেন, তার দল সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানতে চাইছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার তাদের আছে কি না! যদি দেশে গণতন্ত্র থাকে, তাহলে তাদের কেন থামানো হলো? কেন গিলগিট-বালোচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে আটকে দেয়া হলো? তার অভিযোগ, পুলিশ যেভাবে নৃশংস ব্যবহার করেছে, তাতে তার সমর্থকেরা রেগে গেছিলেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, দ্য ডন
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply