
মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড জামায়াত কার্যালয় উদ্বোধন ও কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জামায়াতের জেলা আমীর ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী রুহুল আমিন বলেছেন, “আমার মনোনয়ন উত্তোলনে কোনো খরচ হয়নি, নির্বাচনেও তেমন খরচ হবে না। এমপি হলেও আমার টাকা উঠিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।”
শুক্রবার (গতকাল) রাত ৮টায় দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল আমিন বলেন, “আমাদের বন্ধু সংগঠনের একজন কেন্দ্রীয় নেতা একবার বলেছিলেন—চাঁদাবাজি ছাড়া কি রাজনীতি চলে? আমরা ১৭ বছর খাইনি, চাঁদা না নিলে রাজনীতি চলবে কীভাবে? কিন্তু জামায়াতের কোনো নেতা-কর্মী ১৭ বছর নয়, ৫০ বছর না খেয়ে থাকলেও জনগণের হক নষ্ট করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “টাকা দিয়ে ভোট দিলে মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না। আমাদের দলের এমপি হবে একজন, বাকিরা সবাই হবে জনগণের সেবক। অন্য দলে এমপি হলে তার ভাই হবে এমপি-২, স্ত্রী এমপি-৩, আত্মীয়রা মন্ত্রী হয়। অপরাধমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি দেখতে চাইলে জামায়াতের বিকল্প নেই।”
তিনি বলেন, “গত ৫৪ বছরে আপনারা দেখেছেন—সরকারি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। আমরা এই জাতিকে ঘুষের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চাই। সবাইকে নিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।”
রাজনৈতিক অধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যার যে রাজনীতি পছন্দ, সে সেই রাজনীতি করবে। অপরাধ না করলে কাউকে শাস্তি দেওয়া হবে না। রাজনীতি করার কারণে কাউকে জেলে যেতে হবে না—এই সংস্কৃতি থেকে জাতিকে মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, উপজেলা আমীর নায়েব আলী, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল গফুর, উপজেলা সেক্রেটারি আবেদ-উদ-দৌলা টিটন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাবেক দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিল্টন, সদর ইউনিয়ন আমীর আবুল কাশেম জিহাদী, সাবেক উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি মহসিন এমদাদুল্লাহ জামেন, যুব বিভাগের সভাপতি হাফেজ আব্দুল খালেকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি শিবলুর রহমান।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply