শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’ করুন : মোমিন মেহেদী রাস্তাবিহীন ৫৭ লাখ টাকার সেতু—নয় বছরেও সংযোগ সড়ক নেই, গোবর শুকানোর মাঠে পরিণত ব্রিজ কালিয়ায় ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মাবনবন্ধন সিলেটের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি! নেপথ্যে যুবলীগ নেতা রাণা ও জুলহাস বাহিনী সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন খালিদ মাহমুদ পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৬১৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং-এর মামলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র বিবৃতি ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বাউলদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম চীনা বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ

রাস্তাবিহীন ৫৭ লাখ টাকার সেতু—নয় বছরেও সংযোগ সড়ক নেই, গোবর শুকানোর মাঠে পরিণত ব্রিজ

মোঃ আব্দুল্লাহ হক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৪৮ Time View

মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমার নদের ওপর নির্মিত ৫৭ লাখ টাকার সেতুটি নয় বছরেও মানুষের কোনো কাজে আসছে না। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুর ওপর বর্তমানে শুকানো হচ্ছে গরুর গোবর। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর ও বকশিপুর গ্রামের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুনে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়। তবে সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ‘অব্যবহৃত কাঠামো’ হিসেবেই পড়ে আছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশে রাস্তা না থাকায় স্থানীয়রা এখনো ৫–১০ কিলোমিটার ঘুরে আলমডাঙ্গা শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ সেতুটি চালু হলে ১০টি গ্রামের মানুষ কয়েক মিনিটেই যাতায়াত করতে পারতেন। আশপাশের বৃদ্ধাশ্রম, মাদরাসা, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, “সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। ফসল মাঠ থেকে আনতে কষ্ট হয়, খরচও বাড়ে।”

আসাননগর গ্রামের বাবুল হোসেন জানান, “সংযোগ সড়ক থাকলে দুই পাশের মানুষের যাতায়াত সহজ হতো। এখন সেতুটি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

প্রকাশ নামে আরেক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মনে হচ্ছে ৫৭ লাখ টাকা খরচ করে গোবর শুকানোর জায়গা বানানো হয়েছে।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মৌদুদ আলম খাঁ জানিয়েছেন, তিনি সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং সমস্যাটি পূর্বে জানতেন না। তিনি বলেন, “সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। দ্রুত সেতুটিকে চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

সংযোগ সড়ক না হওয়ায় প্রায় এক দশক ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকা এ সেতুটি এখন এলাকার মানুষের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের আশা—অতি দ্রুত সড়ক নির্মাণ করে এই সেতুটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজে লাগানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS