মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার উম্বাদ আলী জোয়ার্দারের প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি সার বিতরণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি প্রভাবশালী অসাধু মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করছে, যার মূল লক্ষ্য হলো ডিলারের সার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়া।
দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করে আসছেন ডিলার উম্বাদ আলী জোয়ার্দার। কিন্তু সম্প্রতি কিছু তামাক চাষি, মাছ চাষি ও খুচরা বিক্রেতা অতিরিক্ত সার দাবি করে তার প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে। ডিলার উম্বাদ আলী জোয়ার্দার জানান, “আমরা নিয়ম মেনে কৃষকদের সার দিই। কিন্তু কিছু লোক সার ব্যবসা দখল করতে এবং অতিরিক্ত সার পেতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এতে সার বিতরণে বিঘ্ন ঘটছে।”
গত কয়েকদিন আগে সার নিতে এসে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে গচড়াপাড়া ও খুদিয়াখালি গ্রামের দুই ব্যক্তির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ডিলার কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে আপস হলেও পথিমধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ হলে একজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করে।
এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন এবং সুবিধাবাদী মহলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিলার বা কৃষি বিভাগের কোনো দোষ ছিল না; সংঘর্ষটি লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যেই ঘটেছিল। তা সত্ত্বেও, ডিলারকে জড়িয়ে বিক্ষোভ করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং ডিলার ও তার পরিবার বর্তমানে শঙ্কিত।
ডিলার উম্বাদ আলী জোয়ার্দার সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন ।
কৃষক আশিক: “উম্বাদ আলী জোয়ার্দার নিয়মিত ও সঠিকভাবে সার দেন। এখানে কোনো অনিয়ম দেখি না। কিছু লোক ইচ্ছে করে সমস্যা তৈরি করছে।”কৃষক বাপ্পি আহমেদ: “আমরা নিয়মিত তার কাছ থেকে সার পাই। তিনি ন্যায্যভাবে ও সুন্দরভাবে সার বিতরণ করেন।”
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার গণমাধ্যমকে সবসময়ই জানান, “চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোনো সারের সংকট নেই। যারা সারের বাজারে কারসাজি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গচড়াপাড়া এলাকায় তামাক চাষের পরিমাণ বেশি হওয়ায় সারের চাহিদাও বেশি। এই সুযোগে কিছু খুচরা বিক্রেতা বেশি দামে সার বিক্রির চেষ্টা করছে এবং ডিলারের মাধ্যমে সার উত্তোলনের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
সাম্প্রতিক ঘটনার পর ডিলার উম্বাদ আলী জোয়ার্দার ও তার পরিবার নানা ধরনের হুমকি-ধামকির মুখে পড়েছেন। তিনি বর্তমানে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন, যাতে তারা নিরাপদে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে কৃষকদের হাতে ন্যায্য মূল্যে সার পৌঁছে দিতে পারেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply