শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা চুয়াডাঙ্গায় দৈনিক কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না এনসিপি জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা শনিবার ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবীতে সিলেটে মানববন্ধন: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান লভ্যাংশ ঘোষণা ইনডেক্স এগ্রোর সামিট অ্যালায়েন্স লেনদেনের শীর্ষে তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ এনআরবি ব্যাংকের

ভাজাপোড়ার পরিবর্তে ইফতারে যা খেতে পারেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ইফতার হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর। কোনোভাবেই বাইরের তৈলাক্ত খাবার ইফতারে খাওয়া উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইফতারে বেশি ভারী খাবার গ্রহণ করলে রাতের খাবার খাওয়ায় অনিহা তৈরি হয়। তাহলে ইফতারে কি খাওয়া উচিত? এবিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন ল্যাবএইড হসপিটালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ কামরুন আহমেদ।

কামরুন আহমেদ বলেন, ‘‘ইফতারে সাধারণত আমরা পেঁয়াজু, বেগুনি, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ছোলা, আলুর চপ ইত্যাদি খেয়ে থাকি। এগুলো না খেয়ে স্যুপ, দই-চিড়া, মুড়ি, কম মশলা দিয়ে রান্না ছোলা রাখতে পারেন মেন্যুতে। এ ছাড়া ইফতারে ফল খাওয়া উচিত। ফলের মধ্যে রাখতে পারেন, তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি। ফলের জুস, মিল্ক শেক ইত্যাদিও তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে শরবত রাখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে চিনি যেন কম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেজুর ইফতারের জন্য চমৎকার একটি খাবার। ইফতারের সময় এই খাবারটি অবশ্যই রাখুন। এটি শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে।’’

ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করা জরুরি—
কামরুন আহমেদের পরামর্শ, ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি কমপক্ষে আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এ পুরো সময়ে চা, কফি, কোল্ডড্রিংকস না খাওয়াই ভালো। এতে পানিশূন্যতা হয়।

আদা, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা, লেবু, শসা, টমেটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এসব খাবার শরীরে খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। 

ইফতারিতে পাতলা খিচুড়ি ও হালিমও খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য এটি উপকারি। এ ছাড়া বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন গাজর, মিষ্টি আলু, বিট এবং জিংক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল, গমজাতীয় খাবার, ওটস ইত্যাদি। এগুলো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

ইফতারিতে আলাদাভাবে টকদই রাখতে পারেন। এটি শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। অনেকে সালাদ, ছোলা ও মুড়ির সঙ্গে টকদই খান।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইফতারে মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে ইফতারিতে সাধারণ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS