হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়, ইরানকে মোকাবিলা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের উদ্দেশে তেল-আবিব ছেড়েছেন নেতানিয়াহু।
নিউ ইয়র্ক সময় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার। এর মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথম কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
এদিকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ও হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী ধাপের চুক্তি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী আরব দেশগুলো।
যুদ্ধবিরতির পরপরই গাজা উপত্যকায় নিজেদের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করেছে হামাস। যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ ও উপত্যকাটি থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা না হলে দ্বিতীয় ধাপে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠন।
অপরদিকে, গাজায় ফের যুদ্ধ শুরু করতে সরকারে থাকা উগ্রপন্থিদের চাপে মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।
গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়। তবে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে বহু ইসরায়েলিকে জিম্মি করে হামাস। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের পাঁড় সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৭ ইসরায়েলি জিম্মি ও শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
এর মধ্যে রোববার আবার মধ্য গাজায় একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আল-আওদা হাসপাতাল এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাড়িটি একটি তল্লাশি চৌকি অতিক্রমের চেষ্টা করা হলে ওই হামলা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়, জিম্মিদের মুক্তি ও ইরানি সন্ত্রাসী অক্ষ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হবে।’
নেতানিয়াহু বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার, শান্তির পরিসর আরও বিস্তৃত ও শক্তির মাধ্যমে শান্তির এক অসাধারণ যুগে আমরা প্রবেশ করতে পারি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply