নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখার অভিযোগে স্বামী রাসেল ইসলামকে (২৪) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ফরিদপুরের মুন্সিবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেল ইসলাম আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব-১২ এর মেহেরপুর সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) আশরাফউল্লাহ পিপিএম আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য গত সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ রেল স্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর গৃহবধূ শিলা খাতুন (২৩) এর মরদেহ পড়ে ছিলো , পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিলার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই তাকে পিতার বাড়ি বলিয়ারপুর সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক ছিলেন।
শিলা আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের বাসিন্দা রাসেলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। তার একটি ১৪ মাসের শিশুসন্তান রয়েছে।
নিহতের বড় ভাই জুয়েল রানা জানান, শিলার সংসারে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। শিলার স্বামী রাসেল তাকে জানিয়েছিল, ডিভোর্সের আগে কাবিননামার টাকা পরিশোধ করতে হবে, তাই এখনই ডিভোর্স দেবে না। অপরদিকে শিলা তার পরিবারকে জানিয়েছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নিয়মিত নির্যাতন করতো। শিলা চাইছিল যেন পরিবারের পক্ষ থেকে ডিভোর্স দেওয়া হয় যাতে রাসেলকে কোনো টাকা দিতে না হয়।
জুয়েল রানা আরও বলেন, “সোমবার ভোররাতে রাসেল আমাকে ফোন করে জানায় যে, শিলা নিখোঁজ হয়েছে। সকালে শ্বশুরবাড়ির পথে রেললাইনের কাছে মানুষের ভিড় দেখে সেখানে যাই এবং দেখি আমার বোনের মরদেহ রেললাইনে পড়ে আছে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। আমার বোনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
এঘটনায় পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছিলো যে পালাতক রাসেল ও তার পরিবারকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছ ঘটনার তিনদিন পর পলাতক রাসেলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন , নিহত শিলার পরিবার এলাকাবাসী রাসেল তার পরিবারের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply