ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভৈরবে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনরোধ ধীরগতিতে চলছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্ষতি হতে পারে ৭০ কোটি টাকা। গতকালের পর আজও ৩০ মিটার এলাকা ভেঙ্গেছে। এনিয়ে ১৬০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের কারনে বিএডিসি’র দুটি সার গুদাম, যমুনা অয়েল কোম্পানীর ডিপো এবং মেঘনা নদীর ওপর (ঢাকা- চট্রগ্রাম রেলপথের) রেলওয়ের ২৯ নং সেতু এখন হুমকির মুখে পড়েছে। তবে ভাঙ্গন এলাকা থেকে রেলসেতুটি ৪০ মিটার দূরে আছে, তারপরও ঝুকিঁতে আছে সেতুটি। রোববার ভোরে ভাঙ্গনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এলাকা পরিদর্শন করে বিকেল থেকে জিও (বালির বস্তা) ভাঙ্গন এলাকায় ফেলা শুরু করলেও কাজ চলছে ধীরগতিতে। দুইদিনে মাত্র ২০০ জিও (বস্তা) ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল ঘাটাইল ক্যান্টেনম্যান্টের ব্রেগিডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন ভৈরব সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল ফারহানা আফরীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) রেদোয়ান আহমেদ রাফি, ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার পুলিশের এএসপি মোঃ শহীদুল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আতিকুল গনি, বিএডিসি’র ভৈরব অফিসের সহকারী পরিচালক ( সার) শিপন সাহা, যমুনা অয়েল কোম্পানীর ভৈরব অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ মতিউর রহমানসহ স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রেগিডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম আজ সোমবার ভাঙ্গন এলাকাটি পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে দ্রুত জিও ( বালির বস্তা) ফেলার নির্দেশ দেন। তিনি দুইদিনের মধ্য ভাঙ্গন এলাকায় ২৫ হাজার বস্তা জিও ফেলার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় তিনি বিএডিসি ও যমুনা অয়েল কোম্পানীর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইলে কথা বলে জিও ফেলার কাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা অর্থ প্রদান করতে অনুরোধ করেন। ভাঙ্গনরোধে ধীরগতি দেখে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুটি সার গুদামে ৯০৭৩ মেঃ টন সার ও যমুনা অয়েল কোম্পানীর ডিপোতে ৪০ লাখ লিটার তেলের দাম প্রায় ৬০ কোটি টাকা এবং অফিস গুদাম বিলীন হয়ে ক্ষতি হবে আরও ১০ কোটি টাকা। এতে মোট ক্ষতি হবে ৭০ কোটি টাকা।
কিশোরগন্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুল গনি বলেন, আজ নতুন করে ৩০ মিটার এলাকা ভেঙ্গেছে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে কাজ করার অর্থ পেলে খুব দ্রুত ২৫ হাজার বস্তা জিও ভাঙ্গন এলাকায় ফেলা হলে আপাতত ভাঙ্গনরোধ হতে পারে। তবে দ্রুত অর্থ না পেলে কাজের গতি বাড়ানো সম্ভব নয়।
বিএডিসি’র ভৈরব অফিসের সহকারী পরিচালক ( সার) শিপন সাহা জানান, আমরা এখনও আতংকে আছি। গুদামে ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ৯০৭৩ মেঃ টন সার মজুত আছে। কর্তৃপক্ষকে বার বার একথা জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) রেদোয়ান আহমেদ রাফি জানান, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বক্ষণ নজর রাখছি। এবিষয়ে কিশোরগন্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি কাজ করে যাচ্ছি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply