মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

এখনও উদ্ধার হয়নি ১৮৮৫ অস্ত্র ও ৩ লাখ গোলাবারুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬২ Time View

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদের মধ্যে ১ হাজার ৮৮৫টি অস্ত্র ও ৩ লাখ গোলাবারুদ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সরকার পতনের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালায়। এতে থানা ও ফাঁড়ি থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেই অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৮টি। এর মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৯৩৩টি অস্ত্র। তবে রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি ও পিস্তলসহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি ১ হাজার ৮৮৫টি অস্ত্র। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ লুট হওয়া গোলাবারুদ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে চায়না রাইফেল উদ্ধার ৮৩৯টি, উদ্ধার হয়নি ২৯৬টি। বাংলাদেশি রাইফেল উদ্ধার ৯টি, উদ্ধার হয়নি ১টি। এসএমজি উদ্ধার ১৯১টি, উদ্ধার হয়নি ৬০টি। এলএমজি উদ্ধার ২১টি, উদ্ধার হয়নি ১১টি। পিস্তল উদ্ধার ৭৩১টি, উদ্ধার হয়নি ৮২৫টি।

৯x১৯ মি.মি. এসএমজি/এসএমটি উদ্ধার ৩২টি, উদ্ধার হয়নি ১টি। শটগান উদ্ধার ১৬২৪টি, উদ্ধার হয়নি ৬৭টি। গ্যাস গান ৪৭৬টি উদ্ধার, উদ্ধার হয়নি ১১৭টি। টিয়ার গ্যাস লঞ্চার (সিক্স শট) উদ্ধার ৯টি, উদ্ধার হয়নি ৫টি এবং সিগন্যাল পিস্তল উদ্ধার ১টি, উদ্ধার হয়নি ২টি।

বিভিন্ন বোরের গুলি উদ্ধার হয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৫৭টি, উদ্ধার করা যায়নি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি। টিয়ারগ্যাসের শেল উদ্ধার ২৩ হাজার ১৯৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৮ হাজার ৮১১টি। টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার ৭০৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৫১টি। সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার ২ হাজার ১২৮টি, উদ্ধার সম্ভব হয়নি ২ হাজার ৫৬৪টি।

কালার স্মোক গ্রেনেড উদ্ধার ২১৩টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৮টি। মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড উদ্ধার ১৮টি, উদ্ধার করা যায়নি ৩৭টি।

ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড উদ্ধার ৫৩৩টি, উদ্ধার করা যায়নি ৩৬০টি। গ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে (ক্যানিস্টার) উদ্ধার ৯৪টি, উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ৮৩টি।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলমান এ যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড এবং র‌্যাব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS