একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ এর ১ ধারা অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে জামায়াত, শিবির ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি কেউ কোনো নাশকতা ঘটাতে চায়, তা মোকাবিলার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।’
সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর ১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে।’
আইনে সন্ত্রাসী কাজের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোনো অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার বা কোন সত্তা বা কোনো ব্যক্তিকে কোনো কাজ করতে বা করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর আঘাত, আটক বা অপহরণ করে বা করার চেষ্টা করে, এ ধরনের কাজের জন্য অন্য কারো সঙ্গে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে; অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা প্রজাতন্ত্রের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি করে বা করার চেষ্টা করে; অথবা ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে; অথবা এ ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বা নিজ দখলে রাখে, কোনো সশস্ত্র সংঘাতময় দ্বন্দ্বের বৈরি পরিস্থিতিতে অংশ নেয়, তাহলে তা ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে গণ্য হবে।
এ আইনে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্প্রীতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ তছনছ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রমাণ মিলেছে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দল।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply