‘কোটা সংস্কারের আন্দোলন’ সংঘর্ষে রূপ নেয়ায় এবং এতে শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ঢালিউড চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। শিক্ষার্থীদের রক্ত কেন ঝরবে এমন প্রশ্ন তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোটা আন্দোলন। এ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রক্তে লাল হয়ে উঠেছে বিদ্যা অর্জনের ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের যৌক্তিক আন্দোলনে রক্তাক্ত হতে হওয়ায় যে যার অবস্থান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত শেয়ার করছেন অনেকে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলীও।
মঙ্গলবার ( ১৬ জুলাই) বিকেলে বুবলী ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রক্তাক্ত লোগো পোস্ট করেন। কালো রঙের ব্যাকরাউন্ডে রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোর ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরবে কেন?
শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে প্রশ্ন তোলা বুবলী ঢাকা কিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। নিজের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত দেখে ফেসবুকে তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
দেশে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলছে। তবে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সংঘর্ষে রূপ নেয় সোমবার (১৫ জুলাই)। ওই দিন দুপুর ২টার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে দুপক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সময় সংবাদের প্রতিবেদকরা জানান, শুরুতে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে অংশ নিলেও পরে অন্যান্য হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। এতে বিজয় একাত্তর হলের সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেন।
বিকেল ৫টার পর ঢাবির দোয়েল চত্বর এলাকায় ফের আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহীদুল্লাহ আবাসিক হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়া এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আবাসিক হলের ভেতর থেকেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর ইট-পাটকেল ছোঁড়া শুরু হয়। এরমধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। তবে এ সময় পুলিশের কোনো উপস্থিতি ঘটনাস্থলে ছিল না। যদিও প্রথম দফা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্যদের ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টার পর আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply