পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। নানা নাটকীয়তার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। শাহবাজ দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হলেন।
তিনি দেশটির দুইবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।
সোমবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ১৭৪ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শাহবাজ। গত শনিবার মধ্যরাতে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্য যারা ভোট দিয়েছিল আজ তারা সবাই শাহবাজকে নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট দিয়েছেন। এদের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র সদস্যরাও রয়েছে, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি ঊজ্জ্বল ব্যতিক্রমী অধ্যায়।
এ ভোটাভুটির আগেই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সদস্যরা ওয়াকআউট করে জাতীয় পরিষদ থেকে বের হয়ে যায়।
স্পিকারের দায়িত্বে থাকা আয়াজ সাদিক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।
আজ ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরির সভাপতিত্বে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়েছিল। তবে মোক্ষম সময়ে এসে ‘বিতর্কিত রুলিং’ দিয়ে জাতীয় পরিষদকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন আয়াজ সাদিক এবং তাকে নির্বাচনের আগে স্পিকারের চেয়ার থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজের ফুটেজে দেখা গেছে, বিরোধীসদস্যরা টেবিল চাপড়ে আয়াজের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। ফলে ডেপুটি স্পিকার চেয়ার ছাড়তে বাধ্য হন। তবে যাওয়ার আগে কেন কোন পরিস্থিতিতে ওই রুলিং দিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করেন ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি।
আয়াজ সাদিক স্পিকারের দায়িত্ব নিয়েই ভোটাভুটি শুরু করেন। তার নির্দেশে আবারও ঘণ্টা বাজানো হয়। তিনি বাইরে থাকা সদস্যদের জাতীয় পরিষদে প্রবেশের জন্য পাঁচ মিনিট সময় বেঁধে দেন। এ সময়ের মধ্যে পিটিআই’র আসনগুলো শূন্যই থেকে যায়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply