চলছে বৈশাখ মাস। এই সময়ে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এছাড়া দেশের কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী সপ্তাহে এই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া এই মাস পুরোটাই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তাপপ্রবাহের সময় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী এবং যারা কায়িক শ্রমের পেশায় জড়িত তারা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন। তাই তাপপ্রবাহের সময় সুস্থ থাকতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় যখন তাপমাত্রা সব চেয়ে বেশি থাকে সেই সময়ে বাইরের কাজ কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। এছাড়া ঘরের ভেতরে বা ছায়া আছে এমন জায়গায় থাকার চেষ্টা করুন।
গরমে হালকা খাবার খান
গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যতালিকায় যোগ করুন হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার। একসাথে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে কিছু সময় পরপর অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল ও সবজি রাখুন। কমলা, তরমুজ, টমেটো ইত্যাদি এক্ষেত্রে বেশ উপকারী।
আরামদায়ক পোশাক পরুন
গরমে আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন। সুতির নরম পোশাক গরমের জন্য আদর্শ। এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলাই ভালো। হালকা রঙের পোশাক পরলে গরমে আরাম পাওয়া যায়।
নিয়মিত গোসল করুন
বাইরে থেকে ঘেমে এসে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করে ফেলুন। কারণ দেহে ঘাম জমে ফাংগাল ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ঘাম বসে গেলে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
রোদ থেকে চোখতে রক্ষা করুন
কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলেও অতিরিক্ত সূর্যের আলো যেন চোখের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। চশমা ব্যবহার করলে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে প্রতিরক্ষামূলক চশমা ব্যবহার করুন। এমন সানগ্লাস পরুন যা অন্তত ৯৯ শতাংশ অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আপনার চোখকে সুরক্ষিত রাখবে।
বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন
গরমে রাস্তার পাশের বিভিন্ন খাবার বিশেষ করে শরবত, জুস, আইসক্রিম খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। এগুলো খাদ্যজনিত নানা রোগ যেমন–ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং, বমি, জন্ডিস ইত্যাদির কারণ হতে পারে। এ কারণে এ সময় বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
মদ্যপান ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
মদ, ঠান্ডা পানীয় ও কফি দ্রুত শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। তাই পছন্দের হলেও গরমে কফি বা ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। এসবের পরিবর্তে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। গরমে দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত।
কিছু সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকার চেষ্টা করুন
দিনে কয়েক ঘণ্টা সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকার চেষ্টা করুন। এছাড়া বাসা–বাড়ির তুলনামূলক ঠান্ডা ঘরটিতে দিনের বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। ঘরের পর্দা নামিয়ে রাখুন, যাতে ঘর ঠান্ডা থাকে। দিনের বেলা জানালা বন্ধ রাখুন। রাতে খুলে দিন। এতে ঘর বেশ ঠান্ডা থাকবে।
গরমে যা করবেন না
হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহ চলার সময় কী কী করা যাবে না সে বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এগুলো হলো—
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply