হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠছে ইটের ভাটা কোন ধরণের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব ভাটায় পুড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ উজার হচ্ছে বনাঞ্চল বেশিরভাগ ভাটা গুলো ফসলি জমি ও বসতবাড়ির পাশে হওয়ায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি দিন দিন হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
এছাড়াও সরকারের দেয়া কোন ধরণের নির্দেশনা মানছে না ভাটা মালিকরা। অনেক ভাটার নেই বৈধ লাইসেন্স কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ধ্বংসের পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র। এমতাবস্থায় এ বিষয়ে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের।
আর পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারীর অভাবেই এমনটা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলায় ১২০টিরও অধিক ইটভাটা রয়েছে।
এর মধ্যে বেশিরভাগ ভাটা গড়ে উঠেছে বনাঞ্চল ঘেরা উপজেলা চুনারুঘাট, মাধবপুর ও বাহুবলে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এসব উপজেলায় রয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা কালেঙ্গার মতো বিশাল বনাঞ্চল। এছাড়াও রয়েছে বহু পাহাড় টিলা আর বিস্তৃর্ণ চা বাগান। আর এসব বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে পুড়ানো হচ্ছে ভাটায়। বনের কাঠ পুড়ানোর ফলে ভাটাগুলো থেকে প্রতিনিয়ত নির্গত হচ্ছে কালো ধোয়া। ফসলি জমি বা বসত বাড়ির পার্শ্বে ভাটা হওয়ায় যা পরিবেশের পাশাপাশি প্রভাব ফেলছে সাধারণ মানুষের উপর।
যদিও সরকারি নীতিমালায় সবগুলো ইটভাটাকে পরিবেশসম্মত জিগজাগ চুল্লিকরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিচালিত হচ্ছে পরিবেশের ক্ষতিকারক এসব ইটভাটা এদিকে। বাহুবল উপজেলার মিরপুর-ধুলিয়াখাল সড়ক মিরপুর বাহুবল সড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মিরপুর অংশ মিরপুর।
শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক চুনারুঘাট সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের সুন্দরপুর সড়ক, শায়েস্তাগঞ্জ-চুনারুঘাট সড়কের দু’পাশে সারি সারিভাবে দাড়িয়ে আছে অন্তত অর্ধশতাধিক ভাটা। আর এসব ভাটায় ইট বানানোর জন্য যাচ্ছে ফসলি জমির মাটি। যা পরিবহন করা হচ্ছে যন্ত্র দানব ট্রাক্টরের মাধ্যমে। ফলে ভেঙে যাচ্ছে এলাকার রাস্তাঘাট। স্থানীয় এলাকাবাসি বিষয়টি নিয়ে বার বার প্রতিকার জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না স্থানীয় প্রশাসন। শুধু রাস্তা ঘাটের ভাঙনই নয়, যন্ত্র দানব ট্রাক্টরের সাথে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষেরও, স্থানীয়দের অভিযোগ গেল বছর অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করা হলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নেই প্রশাসনের কোন তৎপরতা ফলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ভাটা।
মালিকরাআর পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে এ জেলায়। তাদের কাছে নেই সঠিক কোন তথ্য।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ফসলি জমি বা বতসবাড়ির পাশে ইটভাটা গড়ে উঠা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। যার প্রভাব পড়ে পরিবেশের উপর।
তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরো কঠোর হয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, আবাদি জমির মধ্যখানে ইটভাটা নির্মাণ বেআইনি যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ফসলের উপর।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply