রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
রবি আজিয়াটা সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিবিআই এর তদন্তে বাদীই পিতার হত্যাকারী, চুরির নাটক, স্বীকারোক্তি ও আলামত উদ্ধার চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ নুর আলম ক্লোজড আইএফআইসি ব্যাংকে “পরিবর্তনের পরিক্রমায় এক বছর” শীর্ষক টাউন হল সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন করার মত সক্ষমতা এখনো অর্জন করতে পারেনি : জাতীয় সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ২৪তম টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন্স ২০২৫ এর পর্দা নামলো জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহার ইসলাম নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ সুশীলা কার্কির ইসরাইলের হামলায় গাজায় আরও ৫০ জন নিহত

আসছে রমজান, রোজার স্বাস্থ্য উপকারিতা?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

বছর ঘুরে আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র মাহে রমজান। মাত্র এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে রমজান। তাই জেনে নিন, পবিত্র এ মাসে রোজা রাখার অসংখ্য উপকারিতার কথা।

রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। প্রতিবছর রমজানে প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের জন্য ধর্মীয় ইবাদত রোজা পালন করে থাকেন।

রোজা শুধু ধর্মীয় বিধিবিধানের অংশ নয়; বরং এটি বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যনীতিরও একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে। এর রয়েছে শারীরিক ও মানসিক উপকারিতাও।

প্রথমেই আসি রোজার শারীরিক উপকারিতার কথায়। রোজা থাকলে দিনের বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট ও চর্বি কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিন কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায়।

শরীরকে বিষমুক্ত করার একটি কার্যকরী উপায় হলো রোজা। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তারা সহজেই এ সময়টা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ, রোজা রাখার পাশাপাশি ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবারের প্রাধান্য দিলে খুব সহজেই এই সময়ে আপনি আপনার ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন।

রমজানে নিয়মিত রোজা রাখার ফলে  স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্‌রোগ ও স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

রোজায় পেট খালি থাকার কারণে খাবার হজমের অ্যাসিড এই সময় ধীরগতিতে নিঃসরিত হয়, যা হজম শক্তিজনিত নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোজার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।

অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার বদভ্যাস আছে, তারা এই নিয়মিত রোজা রাখার কারণে এই বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। তা ছাড়া যেকোনো নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তি পেতে রোজা একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

রোজার শারীরিক উপকারিতার সঙ্গে রয়েছে মানসিক উপকারিতাও। রোজা যেহেতু ধর্মীয় একটি ইবাদত তাই নিয়মিত রোজা রাখার ফলে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করা যায়। এ সময় স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, যা ব্রেনের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।

এ ছাড়া দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার অভ্যাসে আমরা সঠিক পথে চলার শক্তি পাই। দীর্ঘসময় নিজেকে সংযত রাখার কারণে আমরা সহজেই পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারি। নিয়মিত রোজায় ও ধর্মপথে থাকায় মানুষ নিজের আত্মপর্যালোচনা এবং চিন্তা-চেতনাকে উন্নত করার সুযোগ পায়।

রোজার গুরুত্ব অনুধাবন করে ডা. আইজাক জেনিংস বলেছেন, যারা আলস্য ও গোঁড়ামির কারণে এবং অতিভোজনের কারণে নিজেদের সংরক্ষিত জীবনীশক্তিকে ভারাক্রান্ত করে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যায়, রোজা তাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করে।

রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীর নানা ধরনের চাপ নিতে সক্ষমতা অর্জন করে। ফলে রোজাদার ব্যক্তি কখনো খিঁচুনি এবং মানসিক অস্থিরতার মুখোমুখি হন না।

কোরআন ও হাদিসে রোজার গুরুত্বের বিবরণ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির সঙ্গে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ইতিবাচকভাবে জীবনদর্শনের জন্য রোজা রাখুন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথ প্রশস্ত করুন।

-আলজাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS