নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) এর উদ্যোগে ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের স্মৃতিচারণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এডভোকে খন্দকার তৈমুর আলম খন্দকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, ১০ দলীয় গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ ও ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান এস. এম. আশিক বিল্লাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।
ভার্চ্যুয়ালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট খন্দকার তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, কাগমারীর সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার আন্দোলন। মওলানা ভাসানী ছিলেন মেহনতি মানুষের নেতা। তাকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আমাদের রাজনৈতিক দল এবং বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের নৈতিক দায়িত্ব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মওলানা ভাসানী প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। আজকে মওলানা ভাসানীকে পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করার ও সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান।
এস. এম. আশিক বিল্লাহ বলেন, মওলানা ভাসানী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নেতা ছিলেন। তিনি সকল গণমানুষের পক্ষে ছিলেন। তাকে এই প্রজন্মের কাছে পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার জন্য তিনি সকলে প্রতি আহ্বান জানা।
উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ১৯৫৭’র ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে সুস্পষ্টভাবে বিশ্ববাসীকে তৎকালীন পশ্চিমাগোষ্ঠী আমাদের পূর্ব পাকিস্তানীর প্রতি বৈষম্য আচরণ সম্পর্কে অবিহিত করেন। মওলানা ভাসানী ছিল রাজপথের নেতা। তিনি পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর সাথে ২৩ বছর রাজপথে লড়াই করেন। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী তাকে বার বার কারাবরণের স্বীকার হতে হয়। তাই আমরা মনেকরি মওলানা ভাসানীকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আমাদের সকল রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের নৈতিক দায়িত্ব।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply