মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

ভাঙ্গুড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কালিমাতা মন্দিরের ৫২ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ

মোহাম্মদ আলী স্বপন
  • আপডেট : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ প্রণো (৬৫) এর বিরুদ্ধে দিলপাশার কালিমাতা মন্দিরের কয়েকটি পুকুরসহ ৫২ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রণো দিলপাশার ইউনয়িনের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিলপাশার গ্রামের মৃত নরেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে।

রবিবার (২৮জানুয়ারি) এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সদগোপ যাদব সমিতি (কালিমাতা মন্দির) এর পক্ষ থেকে ২৭ জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বরাবরে জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য, সহকারী কমিশনার (ভুমি), ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রী অশোক কুমার ঘোষ প্রণো তার সহোদর তপন কুমার ঘোষ কালা ও ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে সুভাষ চন্দ্র ঘোষ তিনজন মিলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়কে ভায়ভীতি দেখিয়ে নিজস্ব আত্মীয় স্বজনের নাম মাত্র কমিটি করে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ ৫২ বিঘা সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছেন। পাশাপাশি ওই মন্দিরের দুইটি কষ্টিপাথারের মুর্তির হদিস নেই এবং এত সম্পত্তি থাকা সত্বেও মন্দিরটি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে অবহেলায় ও গরুর গোবর রেখে নোংরা করে রেখেছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

পূর্বে ও বর্তমানে তারা তিনজন মিলে উক্ত সম্পত্তির অনেকাংশই ও কালিমাতার কষ্টিপাথরের দুইটি মূর্তি বিক্রি করেছেন। এখন সমিতির সদস্যরা তাদের তিনজনের কাছে সম্পত্তির হিসাব চাইলে তারা বলেন, সম্পত্তি আমাদের নামে তোমাদের কেন আমরা হিসেব দিব। জামির দলিল দেখতে চাইলে তারা কমিটির সদস্যসহ হিন্দু সমাজের সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, প্রাণোরা মন্দিরের সম্পত্তি ৪০ বছরর ধরে ভোগ-দখল করে প্রচুর টাকার পাহাড় গড়েছেন। মন্দিরের এই সম্পত্তির বিষয়ে থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট কেউ অভিযোগ দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন এই প্রণো।

অভিযোগের বিষয়ে অশোক কুমার ঘোষ প্রণো বলেন, আমি দিলপাশার কালিমাতা মন্দিরের সভাপতি। মন্দিরটিতে কষ্টি পাথরের মুর্তি কখনোই ছিল না। বর্তমানে পুকুরসহ ১৫ বিঘা জমি আছে। তবে কালী মন্দিরে গোবর রাখা অন্যায় হয়েছে। এর বাইরে যা বলেছে সব মিথ্যা বলেছে।

ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS