ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল আচারগাঁও থেকে ১২বছরের স্কুল ছাত্র অপহরণকারী কাইসার আলম (৩০) গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৪।
সোমবার(২২জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে অপহরণকারী গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
অপহরণকারী কাইসার আলম কক্সবাজার সদর থানা সওদাগর পাড়ার মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে।
উদ্ধার হওয়া স্কুল ছাত্র সোহান আহমেদ খান ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার আচারগাঁও গ্রামের সোহাগ আহম্মেদ খানের ছেলে। সে নাসিরাবাদ স্কুল এন্ড কলেজের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।
সোমবার সন্ধ্যা ৫টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার লে. (বিএন) মো. ফাহিম ফয়সাল।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত ২০ জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার আচারগাঁও গ্রামে বাড়ির পাশে মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে মাঠে খেলতে গেলে সেখান থেকে অপহরণকারী কাইসার আলম তাকে অপহরণ করে। রাতে খোঁজাখুজির পর পরদিন ২১ জানুয়ারি ময়মনসিংহের কোতওয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে তার পরিবার। অভিযোগ পত্রটি নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের পরিবার ২২ জানুয়ারি সোমবার সকালে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে জমা দেন। পরে র্যাব সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে শিশু সোহানকে উদ্ধার করে।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী কাইসার আলম সটকে পড়ে। পরে র্যাব স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে কাইসার আলমকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া তিনি আরো জানান, অপহরণকারী কাইসার আলম শিশু সোহান এর বাবার কাছে একাধিকবার ফোন দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে। এ সময় তার পরিবার কাইসার আলমকে বিকাশের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেন। আটক কাইসার আলমকে রেলওয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিশু সোহান বলেন, আমি বাবার সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। কাইসার আলম আমাকে হোটেলে খাইয়ে আমাকে কক্সবাজার নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কক্সবাজার নিয়ে যেতে কাইসার আলম আমাকে ট্রেনে উঠালে ময়মনসিংহ থেকে ভৈরব আসার পর র্যাব আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply