রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন

ভৈরবে একজন দানবীর ও মানবতার ফেরিওয়ালা, সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম 

ইমন মাহমুদ লিটন 
  • আপডেট : শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৪২ Time View

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভৈরবে একজন দানবীর ও মানবতার ফেরিওয়ালা, সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম যার কাছ থেকে কখনো কোন গরীব অসহায় মানুষ খালি হাতে ফিরেনি।

অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে কিশোরগঞ্জ ভৈরবে একজন সফল ব্যক্তি মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রফিকুল ইসলাম। চার ভাই পাঁচ বোন নিয়ে তাদের পরিবার। এই পরিবারের ছয় সদস্য কোরআনে হাফেজ। ধার্মিক এই পরিবারের গুনকৃর্তি রয়েছে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে। নিজ জন্মস্থান উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রামে গড়েছেন ১৫ টির বেশি মসজিদ মাদ্রাসা। এছাড়া দরিদ্র ও অসহায় শতাধিক পরিবারকে দিয়েছেন টিউবওয়েল, কাপড় ও খাদ্য সামগ্রীসহ আর্থিক সহযোগিতা।

ভৈরব উপজেলা, পৌর শহরসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলায় কেউ সাহায্যের জন্য আসলে কেউ খালি হাতে ফিরেনি। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর এবং তার পরিবারের নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়াচ্ছেন। যেমন মসজিদ মাদ্রাসা, রাস্তা-ঘাট সামাজিক উন্নয়ন ক্লাব অনুদান, খেলাধুলা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান রাখছেন। সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমাজ সেবার কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

রসুলপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. খালেকুজ্জামান বলেন, আমাদের মসজিদটি টিনের ঘর ছিলো। সাদেকপুর গ্রামের দানবীর রফিকুল ইসলাম ও তার বড় ভাই সফিকুল ইসলামের কাছে যাওয়ার পর উনারা একজন মিস্ত্রী ডেকে হিসাব নিকাশ করে মালামাল কিনে পরদিনই মসজিদের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে দেন। উনারা মসজিদের ভবনটি নির্মাণে সম্পূর্ণ ব্যয় করেছেন।

রসুলপুর নূর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো.নুরুজ্জামান বলেন, এই মসজিদটি প্রথমে ছোট আকারে পাঞ্জাখানা ছিলো। আমরা এলাকাবাসী যখন মসজিদটির ভবন নির্মাণে রফিকুল ইসলামের কাছে গেলাম তখন উনারা মসজিদটি সম্পূর্ণ ভবন নির্মাণ করে দেন। উনাদের কাছে আমরা এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ। 

মসজিদটির বর্তমান সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, উনারা মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদানের পাশাপাশি গরিব দুঃখী মানুষদের আর্থিক সহযোগিতা করেন। এছাড়া প্রতি রমজান মাসে এই ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদে ইফতারের জন্য লাখ লাখ টাকা দেন যেন প্রতিটি রোজাদার মুসল্লিরা মসজিদে ইফতার করতে পারে। 

মৌটুপী গ্রামের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা মো. বাক্কী কর্তা বলেন, রফিকুল ইসলামের পরিবার ব্যাপকভাবে দান দখিনা করেন । ভৈরব উপজেলায় তেমন কোন এলাকা বাকী নেই রফিকুল ইসলামের দান দখিনা ছোঁয়া লাগেনি। তাছাড়া ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে গরিব ও অসহায়দের কাপড় ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে থাকেন।

সাদেকপুর দক্ষিণপাড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের মুসল্লি আবু সাঈদ বলেন, প্রথমে নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে মসজিদের কাজ শুরু করি। পরর্বতী পর্যায়ে দানবীর রফিকুল ইসলাম আমাদের মসজিদটি সম্পূর্ণ নির্মাণ করে দেন। 

সাদেকপুর দক্ষিণপাড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, উনাদের আর্থিক সহযোগিতায় আমাদের মহল্লায় মসজিদের সুন্দর একটি ভবনসহ ওযুখানা, টয়লেট নির্মান করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী দানবীর এই পরিবারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। 

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দানবীর রফিকুল ইসলাম বলেন, নিজের দানে বিষয়ে প্রকাশ করা ঠিক নয় তবুও আপনারা যখন জানতে চেয়েছেন তাই বলছি,  আমরা মুসলমান আমাদের একটি দায়িত্ব আছে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থাকা। টাকা ওয়ালা অনেক থাকতে পারে কিন্তু অনেকের গরীব অসহায়দের সহযোগিতা ও মসজিদ মাদ্রাসায় কাজ করার মনমানুষিকতা থাকে না । আমাদের ফ্যামিলা সবসময় চিন্তা করি টাকা উপার্জন করবো এবং গরিব দুঃখীদের আর্থিক সহযোগিতা করবো। তারা যেন সুন্দরভাবে চলতে পারে। আমরা সাদেকপুর ইউনিয়নে ১৫ টি মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছি। তাছাড়া ছোট বড় অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসার নির্মাণ কাজে অনুদান দিয়েছি। এছাড়া ছয় শতাধিক পরিবারকে টিউবওয়েল দেয়া হয়েছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে কোন না কোনভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেছি । আমি ও আমার পরিবারের বিষয়টি কাউকে জানানোর ইচ্ছে নাই। তবে কেউ যদি আমাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয় তাতেই আমাদের পরিবারের সফলতা। আমি চাই সমাজের বিত্তশালীরা মানবতার কল্যাণে তারা এগিয়ে আসুক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS