দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে সুপ্রিম পার্টির মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তবে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের গণঅধিকার পার্টির হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন।
মনোনয়ন দাখিলের পর রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, ‘এবারও যদি নির্বাচনে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়, তখন আমি বাধা দিতে যাবো। আর আবারও আমাকে মার খেতে হবে। এসব বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আমি হারুন স্যারের কাছে এসেছিলাম।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, অতীতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর হামলার শিকার হতে হয়েছে। এবারও যদি এর পুনরাবৃত্তি হয়, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো।
হিরো আলম বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তাদের নির্বাচনে আসা উচিত, যদি কারচুপি হয় সেটা জাতি ও বহির্বিশ্ব দেখতে পাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে লড়েন হিরো আলম। পরে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন তিনি। এরআগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন হিরো আলম। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে উচ্চ আদালতে আবেদন করে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। ওই নির্বাচনে তিনি সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এসব নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত ও মারধরেরও শিকার হন। সবশেষ ঢাকা-১৭ এর উপনির্বাচনেও হিরো আলম মারধরের শিকার হন। এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস নিন্দাও জানায়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS