কিডনিতে সমস্যা হলে আপনি সহজে ধরতে পারবেন না। কারণ কোনো লক্ষণ আপনার সামনে আসবে না। তাই মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে নেয়া ভালো।
বয়স যাদের ৫০ পার হয়েছে তাদের উচিত বছরে দু-বার পরীক্ষা করানো।
ভারতের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য থেকে জানা যায়, এসিআর ও জিএফআর -এর মতো দুটো সিম্পল টেস্ট করালেই ধরা পড়বে আপনার কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না।
১. এসিআর: এটি অ্যালবুমিন ও ক্রিয়েটিনিনের অনুপাত। অ্যালবুমিন হলো বিশেষ ধরনের প্রোটিন। মূত্রে অ্যালবুমিন আছে কি না, পরীক্ষা করে সেটাই দেখা হয়। আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। যে কারণে রক্তে প্রোটিন থাকা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু, এই প্রোটিন কখনোই মূত্রে থাকার কথা নয়। যদি মূত্র পরীক্ষায় প্রোটিন পাওয়া যায়, তার মানে হল, কিডনি ঠিকঠাক ভাবে রক্তকে ছাঁকতে পারছে না। তাই ইউরিন টেস্টে প্রোটিন পজিটিভ হলে, নিশ্চিত হতে এনএফআর করাতে হবে। যদি, তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে রেজাল্ট পজিটিভ হয়, তা কিডনির অসুখের আভাস।
২. জিএফআর: কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে তা রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন অর্থাত্ বর্জ্য পদার্থ ঠিকমতো বের করে দিতে পারে না। তবে, এই ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা হল প্রথম ধাপ। এর পর জিএফআর দেখতে হবে। সেই রেজাল্ট দেখেই ডাক্তার বুঝতে পারবেন কিডনি কেমন কাজ করছে।
রক্তের এমন টেস্ট করার পর ডাক্তার যদি দেখে যে রক্তে ক্রিয়েটিনিন লেভেল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি, তখন চিকিৎসকরা কিডনির অবস্থা আরও ভালোভাবে বুঝতে রোগীর অন্য উপসর্গ অনুযায়ী চার ধরনের ক্রিয়েটিনিনের একটি বা একাধিক টেস্ট করতে দেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply