জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অর্থ দিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ি বানাতে চায় শিশুশিল্পী ফারজিনা আক্তার। সোমবার (১৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানায় সে।
এর আগে সাংবাদিকদের শিশুটি বলে, ‘পুরস্কার নিতেই তো ঢাকাত আইছি। আমাদের টাকাও দেবে। সেই টাকা দিয়ে বাড়ি বানাব। আমাদের কোনো বাড়ি নেই।’
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের খুব গরিব পরিবারের সন্তান ফারজিনা। অভাবে নিজেদের বাড়িটিও বিক্রি করতে হয়েছে। এরপর থেকে নানাবাড়িতেই থাকে তারা। ফারজিনার বাবা একজন কৃষক।
জানা গেছে, ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার যখন শুটিং হয়, তখন ফারজিনার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। কীভাবে অভিনয় করতে হবে, সেগুলো বলে দিলে সেভাবেই অভিনয় করত। কিন্তু রাজি করাতে বেগ পেতে হতো। মানুষের সামনে লজ্জায় অভিনয় করতে চাইত না।
প্রসঙ্গত টাঙ্গুয়ার হাওড় এলাকায় শুটিং লোকেশন দেখতে যান পরিচালক মুহাম্মদ কাইউম। সেখানে একটা বাড়ি শুটিংয়ের জন্য পছন্দ করেন পরিচালক। বাড়িটি ছিল ফারজিনাদের। আর সে সময় ফারজিনাকে দেখে পরিচালকের শিশু চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পছন্দ হয়। শুরুতে রাজি না হলেও পরে অসাধারণ অভিনয় করে ফারজিনা। তাকে শিখিয়ে দিলে সে অনুযায়ী অভিনয় করে।
২০০০ সালের দিকে পরিচালক মুহাম্মদ কাইয়ুম ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তখন এর অর্থায়নের জন্য কোনো প্রযোজক তিনি পাননি। এ জন্য তাকে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরে ২০১৭ সালে এর প্রাক-প্রযোজনা শুরু হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওড়াঞ্চল হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলায় চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের কাজ হয়েছে। এর চিত্রধারণ ২০১৯ থেকে ৩ বছরের জন্য হয়েছিল। চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শিল্পীরা পেশাদার নন বরং তারা থিয়েটারে কাজ করেন। এই চলচ্চিত্রে হেমাঙ্গ বিশ্বাস ও রাধারমণ দত্তের একটি করে গান ব্যবহার করা হয়েছে।
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়িতা মহলানবিশ ও উজ্জ্বল কবির হিমু। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সামিয়া আক্তার বৃষ্টি, সুমি ইসলাম, বাদল শহীদ, মাহমুদ আলম, আবুল কালাম আজাদসহ অনেকে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS