সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
রেমিট্যান্স বাড়ায় তিন ব্যাংক থেকে ১১ কোটি ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্র সংস্কার ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনে স্থানীয় সরকার বিভাগকে ইসির চিঠি প্রথম ২৭ দিনেই রেমিট্যান্সে সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা অস্ট্রেলিয়া অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এএএবি)-এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত আন্দোলনরত ৮ দলের সঙ্গে যুক্ত হলো এনসিপি ও এলডিপি চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি-র প্রথম ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ হরিপুরে কনকনে ঠান্ডায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে

ঝুঁকি নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজারও মানুষের পারাপার

মোহাম্মদ আলী স্বপন
  • আপডেট : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩১৭ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর ওপর নির্মিত জোতবাজার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক।

এ কারণে বাঁশের সিঁড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হতে হয় শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষকে। ফলে দুর্ভোগের অন্ত নেই এ অঞ্চলের মানুষের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংযোগ সড়কের কাজ না করায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। তাই অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হয় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ সবাইকে। নৌকায় এপার থেকে ওপারে যেতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। নৌকায় পার হতে হতে স্কুলের ক্লাসের সময় পার হয়ে যায়।

উপজেলার বাইবুল্লাহ গ্রামের সামছুল  রহমান  বলেন, বাধ্য হয়েই বাঁশের মই দিয়ে ওঠানামা করতে হয়। সেতুর এ পারে কোনো স্কুল-কলেজ না থাকায় এভাবেই পারাপার হতে হয় তাদেরকে।

গ্রামের অনেকেই জানান, বন্যার সময় গ্রামগুলোর একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌকা। শিশু শিক্ষার্থীরা জানায়, নৌকায় পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে সময়মতো স্কুলে না পৌঁছানোর ফলে লেখাপড়ার ক্ষতি হয় এবং শিক্ষকের বকাও খেতে হয়।

নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ  জানান, এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিলন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষাণ বলেন, কাজ শুরুর পর মহামারী করোনা আসে। তারপরও ২০২৩ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। সংযোগ সড়কের জন্য বন বিভাগকে বারবার গাছ কাটতে বলা হয়।

কিন্তু তাদের গাফিলতির কারণে সময়মতো গাছ না কাটায় সংযোগ সড়কের কাজ করা যায়নি।

বর্তমান বাজারমূল্য বেশি। আগের রেটে কাজ করা সম্ভব নয়। নতুন রেট দিলে ব্লক দিয়ে সংযোগ সড়কের কাজ করা যাবে।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফয়েল আহমেদ বলেন, ডিজাইনে একটু সমস্যা আছে। আর নরমাল মাটি দিয়ে কাজ করলে সংযোগ সড়ক টিকবে না। তাই ব্লক দিয়ে কাজটি তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS