নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুর রহমান, মহাসচিব বজলুর রহমান বাবলু, ভাইস চেয়ারম্যান এম. দেলোয়ার হোসেন, মাহতাব উদ্দিন শহীদ, যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস হোসেন এবং কেন্দ্রীয় নেতা মোবারক হোসেন সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি শিল্প গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণে গঠিত বোর্ডের সময়ক্ষেপণের কারনে এ শিল্পের শ্রমিকদের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। সম্প্রতি চলমান শ্রমিক অসন্তোষ কে নিয়ন্ত্রণে আইন—শৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে শক্তি প্রয়োগ করছে তাতে উত্তেজনা তীব্রতর হচ্ছে। খেটে খাওয়া নিরস্ত্র শ্রমিকদের অসন্তোষ কে প্রশমিত করতে কৌশলী ভূমিকা গ্রহণ না করে দমন—পীড়ন কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে ২ জন শ্রমিকের মৃত্যুর সংবাদে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলতে চাই শ্রমিকরা পারিবারিক দৈনন্দিন চাহিদার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে সেহেতু নতুন মজুরি ঘোষণা চাওয়া কোন অপরাধ হতে পারে না। আমরা নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নিরীহ শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি এবং নিম্নতম ২৩ হাজার মোট মজুরি ৬৫% বেসিক ১০% ইনক্রিমেন্ট অবিলম্বে ঘোষণা প্রত্যাশা করছি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা সরকার এবং শিল্প মালিকদের প্রতি আহবান জানাতে চাই শিল্পের চলমান অসন্তোষ নিরসনে কালবিলম্ব না করে সকলের প্রত্যাশিত মজুরী ঘোষণার উদ্যোগ নিন। অন্যথায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায়ভার আপনাদেরকে নিতে হবে। আমরা শিল্পের প্রাণপ্রিয় শ্রমিক ভাই—বোনদের কে আশ্বস্ত করতে চাই মজুরি চূড়ান্ত ভাবে নির্ধারণের পূর্ব পর্যন্ত আমরা সজাগ ও সতর্ক রয়েছি। আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান, উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আপনাদের শান্তিপূর্ণ উৎপাদন দেশের অর্থনৈতিক খাতকে সমৃদ্ধ করবে, তাহলেই দেশ বাঁচবে। পাশাপাশি কতিপয় শিল্প মালিক কে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, নিরীহ শ্রমিকদের স্থানীয় মাস্তান বাহিনী সহ বিভিন্ন ঝুট ব্যবসায়ী দ্বারা দমন—পীড়ন বা ভয়—ভীতি প্রদর্শন অবিলম্বে বন্ধ করুন নচেৎ তার চরম খেসারত আপনাদের কে দিতে হবে। প্রকারান্তরে দেশ, শিল্প এবং কর্মরত ৪০ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা সহ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং সকল প্রকার মামলা—হামলা বন্ধ করে কর্মক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply