মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন

ভৈরবে কোদালকাটি খাল খনন পরিদর্শনে প্রকৌশলী, নিয়ম মেনে খননের নির্দেশ

ইমন মাহমুদ লিটন 
  • আপডেট : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ ভৈরবে খাল খনন পরিদর্শনে এসেছেন এলজিইডি নারায়নগঞ্জ অঞ্চল এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল বাসেদ। আজ ২ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ টায় ভৈরব উপজেলার শিমুলাকন্দি ইউনিয়ন গোছামারা স্টিলব্রীজ এলাকায় আসেন তিনি। 

খাল খননের বাধাঁ প্রদানকারী স্থানীয় কিছু কৃষক ও নেতৃবৃন্দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন করেন বলে নিশ্চিত করেছে ভৈরব উপজেলা ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মহিউদ্দিন। 

পরিদর্শনে এসে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ভৈরব কোদালকাটি খাল খনন পরিদর্শনে নারায়নগঞ্জ অঞ্চল এর তত্বাবধায়ক কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদ বলেন, সরকারের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে খাল খনন হবে। সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। আজকের পরিদর্শনের বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করবো। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করবো যেন কোন কৃষকের জমি নষ্ট করে খাল খনন না হয়। কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেজারমেন্ট অনুযায়ী কাজ হবে। ডিজিটাল নিয়মে কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবী খাল খনন হোক। খালটি খনন হলে কৃষকদের ব্যপক উপকার হবে। দ্রুত  সময়ের মধ্যে খাল খনন কাজ শুরু হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,  শিমুল কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন, সাবেক চেয়ারম্যান হারিস মিয়া, মোঃ বাবুল মিয়া, শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল বাশার, শিমুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মহিউদ্দিন জানান, সারাদেশে সরকার খাল খনন এর নির্দেশনা দিয়েছেন। শুকনা মৌসুমেও যেন কৃষক জমিতে পানি ব্যবহার করতে পারে সেজন্য সরকার এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পরিদর্শন শেষে আমাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আমি যেন নিয়ম মনে কাজ শুরু করি। 

উল্লেখ্য, খাল খননের পক্ষে বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছে ঠিকাদারের দেয়া সাব কন্টেক্টার ও গ্রামের  খালের পাশে থাকা জমির মালিকগণ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে কৃষকদের দাবী খননের নামে জমি যেন বিলিন না হয়। সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স মুমিনুল হক এন্ড হাসান কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোছামারা খাল খননের চুক্তি পান। এক সপ্তাহ আগে ওই খালের খনন কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি। এক্সাভেটরের পরিবর্তে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় ফুঁসে উঠেন খাস জমি দখলদার ও কিছু স্বার্থান্বেষী লোকজন।

তবে এদিকে খাল খননের বিপক্ষে কঠিন অবস্থানে রয়েছে এলাকার কিছু লোক। তারা খাল খননের পক্ষে থাকলেও ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা যাবে না এ বলে বার বার বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন চিঠির মাধ্যমে আবেদন করছেন।

 ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী তাদের দাবী পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে কাজটি বন্ধ রেখে নিয়ম মেনে কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS