শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

বরিশাল-৬ আসন: আ.লীগকে ছাড় দেবে না জাপা, আন্দোলনে বিএনপি

এস এল টি তুহিন
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বরিশাল প্রতিনিধি: দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ অবস্থায় সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশাল-৬ আসনে (বাকেরগঞ্জ উপজেলা) রাজনীতির মাঠ। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডজনখানেক মনোনয়নপ্রত্যাশী নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। তবে জোটবদ্ধ রাজনীতির কারণে আসনটিতে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে রয়েছে নানা সমীকরণ। আসনটিতে সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থান রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। তবে ২০০১-২৩ সাল পর্যন্ত আসনটিতে দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) পায়নি আওয়ামী লীগ। ১৫ বছর দলটি টানা ক্ষমতায় থাকলেও জোটের প্রশ্নে তিন মেয়াদেই আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। এবার মাঠের নেতাকর্মীরা চাইছেন নৌকার মাঝি। আর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কৌশল নিরূপণে ব্যস্ত বিএনপি।

প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যে নীরব সাক্ষী বরিশালের সবচেয়ে বড় উপজেলা বাকেরগঞ্জ। ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা। ১৯৯১ সালে বরিশাল-৬ আসনে এমপি ছিলেন তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস খান। তার মৃত্যুর পর ১৯৯৪ সালের উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন বিএনপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ খান। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম আনোয়ার চৌধুরী বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হন। তবে একই বছরের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে  হারিয়ে আসনটি দখলে নেন নৌকার প্রার্থী সৈয়দ মাসুদ রেজা।

২০০১ সালের নির্বাচনে আবুল হোসেন খানের জয়ের মধ্য দিয়ে ফের আসনটির দখল নেয় বিএনপি। ২০০৮ সালের মহাজোট প্রার্থী রুহুল আমিন হাওলাদার নির্বাচিত হন। এর পরের দুই মেয়াদে আসনটি তার স্ত্রীর দখলে। তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের মাঠের নেতাকর্মীরা বলেন, এবার দলীয় প্রার্থী না দিলে আসনটি অন্য কারও দখলে চলে যেতে পারে। কারণ বর্তমান এমপিকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতারা পাশে থাকবেন কি না সন্দেহ আছে। আর বিএনপি নির্বাচনে এলে জাপার জন্য এককভাবে জয় ছিনিয়ে আনা অনেকটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে।

আগামী নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে হলে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান জাপার এমপি নাসরিন জাহান রত্না। তিনি  বলেন, আমি এই আসনে দুবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এখন পর্যন্ত কাজ যা করেছি খারাপ করিনি। এবারও ইচ্ছা আছে। তবে এ বিষয়ে আমাদের চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপরই কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আসনটি নিয়ে জাপার অবস্থান জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু  বলেন, আমাদের এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তিনশ আসনেই নির্বাচন করব। তবে দেশের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আমরা কোনো জোটে যাব কি না। কেউ যদি জোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়, সেখানে আমাদেরই অগ্রাধিকার থাকবে। জোটে গেলেও আর না গেলেও বাকেরগঞ্জে রত্না আমিনই আমাদের প্রার্থী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) বলেন বিএনপি নির্বাচনে আসুক তারপর তারা তিনশ আসনে নির্বাচন করুক, দেখা যাক কয়টা তারা আসন পায়।

একাধিক সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত ২ সেপ্টেম্বর গণভবনে ডাক পড়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতার। তারা রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গণভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এবার নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন। তাই এবার দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪ দলীয় জোটের শরিকগুলোর মধ্যে যারা যোগ্য তাদের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা করছি। জরিপের ভিত্তিতে জনপ্রিয়তায় যিনি এগিয়ে থাকবেন, তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। বর্তমান সংসদে আছেন কিংবা একাধিকবার এমপি হয়েছেন বলেই যে এবারও মনোনয়ন পাবেন, সে নিশ্চয়তা নেই। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমাদের মনোনয়ন বোর্ড ও সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

নির্বাচন ঘিরে বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, বরিশাল-৬ আসনে যেন দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আসনটিতে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন দলটির উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ^াস মুতিউর রহমান বাদশা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নুও আলোচনায় আছেন। এ ছাড়া আসনটিতে ১৪ দলীয় জোট থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন।

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিককে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোটের কারণে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় জাতীয় পার্টিকে। তাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সর্বোচ্চ ফোরামে চেষ্টা করছেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচনি এলাকায়ও প্রচার-প্রচারণায় তাকে বেশ সরব দেখা যাচ্ছে। তবে তার অবস্থানের বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।

নির্বাচনি এলাকায় নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। ১৯৯১ সালে এই আসনে তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত তৎকালীন আট দলীয় জোটের শরিক ন্যাপকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। এবার দলীয় প্রার্থী হিসেবে আশাবাদী ঝন্টু  বলেন, দল ও জনগণ চাইলে আগামী নির্বাচনে আমি প্রার্থী হতে আগ্রহী। জীবনের এই সময়ে এসে আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া নেই। তবে নিজের উপজেলাবাসীকে কিছু দেওয়ার আছে। মনোনয়ন পেলে উপজেলার গ্রাম পর্যায়েও ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিতে চাই। এ ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব নাগরিকসেবা জনসাধারণের দোরগোড়ায় নিয়ে আসা ও বেকারত্বের হার কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু ১৯৮৪-৮৭ সাল পর্যন্ত বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৯-৯১ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং ২০০২-১০ সাল পর্যন্ত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।

তৃণমূলে আলোচনায় রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জুও। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বাকেরগঞ্জে নৌকার মনোনয়ন কিনেছিলেন মঞ্জু ও তার দুই সহোদর। মঞ্জু বলেন, ১৯৯৩-৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ছাত্ররাজনীতি শেষ করে এখন পেশাজীবী সংগঠনের রাজনীতি করছি। উন্নয়নের প্রধান কারিগর প্রকৌশলীদের নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে প্রকৌশলীদের মাধ্যমে আমার নির্বাচনি এলাকায় অনেক বেশি সেবা দিতে পারব। তিনি বলেন, এ আসনে ২৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগের এমপি নেই। ফলে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবেও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। যদিও দল ক্ষমতায় থাকায় সেটি টের পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুই মেয়াদে আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একবার এজিএসের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মঞ্জুর বড় ভাই নুরুল হক অসিম ও ছোট ভাই এনামুল হক আবিরও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মনোনয়প্রত্যাশী অন্য প্রার্থী বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার কাছে নির্বাচন রাজনীতিরই অংশ। সে কারণে নির্বাচন করার আকাক্সক্ষা অবশ্যই আছে। তবে এখন পর্যন্ত মনোনয়ন চাইনি। আগামী নির্বাচনে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। গত এক বছর ধরে আমি নির্বাচনি এলাকায় বিশেষভাবে প্রচারণা করছি। কোনো দায়িত্বে না থেকেও বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রাখার চেষ্টা করছি। যদি এবার জাতীয় পার্টির প্রসঙ্গটা না থাকে তা হলে আমি আশাবাদী। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তার আগের দুই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টাম-লীর সদস্য হাফিজ মল্লিককে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি গত ১৫ বছর বাকেরগঞ্জের রাজনীতিতে তৎপর থাকলেও নেতাকর্মী ও মানুষের প্রত্যাশার জায়গা ছুঁতে পারেননি। বাদশা ১৯৮০-০২ সাল পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ ও বরিশালে ছাত্রলীগের একাধিক গুরুত্বপূর্র্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৩-১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের দুটি পদে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ ২০২২ সাল থেকে তিনি বর্তমানে যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল আলম চুন্নু বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে আমি নৌকার প্রার্থী হতে চাচ্ছি। আমার জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে অনেক ভালো। ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ১২ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে ১১ জনই আমার পক্ষে। তিনি বলেন, এলাকায় হাফিজ মল্লিকের বেজ নেই, ঢাকায় তার বড় পোস্ট থাকলেও এলাকায় তার জনপ্রিয়তা নেই। তার ইউনিয়নে আমি প্রোগ্রাম করে আসলাম, তার কোনো নামই নেই।

১৪ দলীয় জোট থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, জোটের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৪ দল এবারও জোটগতভাবে নির্বাচন করবে। সেই হিসেবে এবার আমি নৌকার জোরালো প্রার্থী। আমার দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আমাকে বাকেরগঞ্জে নৌকার নমিনেশন দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি না হয়েও বাকেরগঞ্জে যে পরিমাণ উন্নয়ন করছি, গত ১৫ বছর যারা এমপি ছিলেন তারা এর ধারে-কাছেও নেই।

এদিকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে থাকলেও কৌশলে প্রচারণায় রয়েছে বিএনপি। হারানো আসন দখলের চেষ্টা করছেন দলটির নেতারা। যদিও দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ লক্ষ করা গেছে। এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন-দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজন ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হারুন-অর রশিদ সিকদার। তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।

সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান বলেন, বর্তমানে বাকেরগঞ্জে বিএনপিতে কোনো কোন্দল নেই। তবে নির্বাচন এলে এগুলো বেশি হয়। আমি সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন আমার সময়কালে হয়েছে। সন্ত্রাসমুক্ত বাকেরগঞ্জ গড়েছি। আমি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। আমার বিশ্বাস সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে আছে। অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন বলেন, আমরা এক দফার আন্দোলনে আছি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করার পরই আমরা নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করব। তবে যদি দাবি আদায় করে নির্বাচনে বিএনপি যায়, সে ক্ষেত্রে দল থেকে অবশ্যই মনোনয়ন চাইব। আর এ বিষয়ে দলের চেয়ারম্যানই ঠিক করবেন কে কোথায় নির্বাচন করবে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হারুন-অর রশিদ সিকদার বলেন, জীবনের অধিকাংশ সময়ই এই দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যয় করেছি। এসব দিক বিবেচনা করে দল আমাকেই মনোনীত করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS