সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের তথ্য চায় বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২
  • ৪৭৯ Time View

দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

একইসঙ্গে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই, সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের অবহিত করেছে বিএসইসি।

দেশে মোট তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩১টি ব্যাংক। আর অ-তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩০টি ব্যাংক। সকল ব্যাংকের কাছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য চেয়েছে বিএসইসি।

তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এ পরিমাণ বিনিয়োগ নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছে।

তবে এর আগে মূলধনের বিপরীতে তারা বিনিয়োগ করতে পারতো। ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পরবর্তীতে আইন সংশোধন করে বিনিয়োগের নতুন নিয়ম জারি করা হয়।

বিএসইসি’র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সকল তফসিলি ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য জানাতে বলা হলো। বিএসইসির প্রদান করা ছক অনুসারে ই-মেইলে অথবা লিখিতভাবে সরাসরিও পাঠানো যাবে। এ চিঠি হাতে পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য প্রদানের অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে দেশের ৩৩টি তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান অর্থ কর্মকর্তাদের (সিএফও) সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, যেসব তফসিলি ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে রয়েছে, তারা শিগগিরই ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে। এতে করে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। এই বিশেষ তহবিল যেসব ব্যাংক গঠন করেনি তারা দ্রুত গঠন করবে এবং যাদের ফান্ড রয়েছে তারা সম্মিলিতভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাপোর্ট দেবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের টায়ার-১ ও টায়ার-২ অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মূলধন শক্তিশালী করার জন্য পারপিচ্যুয়াল ও সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের অনুমোদন সুপার ফার্স্ট গতিতে দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS