সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

শায়েস্তাগঞ্জ অযত্নে অবহেলায় পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে বধ্যভূমির

লিটন পাঠান
  • আপডেট : শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে অযত্নে অবহেলায় পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে বধ্যভূমির। দেখার যেনো কেউ নেই কয়েকটি পাকা পিলার ও তারকাটা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে কেবল একটি সাইনবোর্ড বসানো বধ্যভূমিতে। এখনো গড়ে ওঠেনি কোনো স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু এখন পাকা পিলার থাকলেও নেই তারকাটার বেড়া জানা যায়, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার এক শোকাবহ স্মৃতিচিহ্ন অঙ্কিত হয়ে আছে উপজেলার রেল জংশনের পাশের এ বধ্যভূমিতে।

এখানে পাকবাহিনী লালচান্দ চা-বাগানসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ ১১ জনকে হত্যা করে গণকবর দেয়। এরা হলেন- রাজকুমার গোয়ালা, লাল সাধু, কৃষ্ণ বাউরী মেম্বার, দিপক বাউরী, মহাদেব বাউরী, অনু মিয়া, সুনীল বাউরী, নেপু বাউরী, রাজেন্দ্র রায়, গৌর রায় ও ভুবন বাউরী এর মধ্যে শুধু অনু মিয়াই মুসলিম ধর্মের ছিলেন,

শহীদ সবাই চুনারুঘাট উপজেলার লালচান্দ চা বাগানের বাসিন্দা ছিলেন স্থানীয়রা বলছেন, এ শহীদদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া বাঙালি জাতির দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। সে বিবেচনায় শায়েস্তাগঞ্জের এ বধ্যভূমি উপযুক্ত মর্যাদা ও সম্মান পাওয়া থেকে অনেকাংশেই বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এলে শুধুমাত্র পরিস্কার করা হয়। স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ বধ্যভূমি রেললাইন সংলগ্ন হওয়ায় রেললাইন অতিক্রম করা ছাড়া সেখানে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়ক থেকে বধ্যভূমিতে যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলেও ওই সড়কটির পাশে সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে।

এ সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচলের কোনো পরিবেশ নেই তাছাড়া পাশে বস্তি থাকায় ময়লা আবর্জনার স্তুপসহ প্রশ্রাব, পায়খানা করা হয় ওই স্থানে। এ বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য তারকাঁটা দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছিল। যা এখন আর নেই। ফলে এখনো অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে বধ্যভূমি। বারবার কর্তৃপক্ষকে বলার পরও এর কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কাজ হচ্ছে করা হবে বলে আশার বাণী শুনানো হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS