নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের নেতৃত্বে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে। সমগ্র দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক- কর্মচারীর প্রতিনিধিবৃন্দ এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
অবস্থান কর্মসূচির ১৪তম এবং অনশনের ১ম দিনে সমগ্র দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী নতুন করে যোগ দিয়েছেন। এখনো আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ না করায় শিক্ষকরা আজকে থেকে অনশন শুরু করেছেন।
শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা উৎসব ভাতা পায় স্কেলের ২৫%। একজন এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক ১২৫০০ টাকা স্কেলে উৎসব ভাতা পায় মাত্র ৩১২৫ টাকা। এই অল্প টাকা দিয়ে একজন শিক্ষককের পক্ষে কোনভাবেই উৎসব পালন করা সম্ভব নয়। অধ্যক্ষ থেকে পিয়ন পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া পায় মাত্র ১০০০ টাকা যা অত্যন্ত অমানবিক। চিকিৎসা ভাতা পায় মাত্র ৫০০ টাকা।
অথচ বর্তমান সময়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কনসালটেন্সি ফি হাজার টাকার উপরে। এগুলো থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা। জোটের আহবায়ক অধ্যক্ষ মাইন উদ্দীন ও সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমদ মহাজোট ঘোষিত ১২ ও ১৩
মার্চ দেশের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ ঘন্টা কর্মবিরিত পালনের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেন। জোটের যুগ্ম আহবায়ক- অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ দিন ধরে প্রেসক্লাবের ধূলোবালিতে পড়ে থাকা শিক্ষকদের ব্যাপারে খোঁজখবর না নেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। মনে হয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অভিভাবকহীন। তিনি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় বাক্ত করেন।
সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, আবু রায়হান, মোঃ শাহ আলম, আবু তালেব সোহাগ, ইমরান হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, দুলান, আফজালুর রশিদ আয়নুল হক মন্ডল, বিপ্লব কান্তি দাস, রুহুল আমীন, মো: ফরিদ উদ্দিন, মামুনুর রশিদ, আবুল বাশার নাদিম, বেলাল হোসেন, মতিউর রহমান শেখ আব্দুর রহমান, আবুল বাশার, মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী, মো: ইসমাইল হোসেন, রবিউল ইসলাম, আব্দুল মতিন, ঝর্ণা বিশ্বাস তোফায়েল আহমেদ, ইকরাম হোসেন, আবু ইউসুফ সহ প্রমূখ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply