নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৭মে ২০১২ সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি টিফিনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি।
বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্দ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার মধ্য থেকে বাদপড়া সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহ জাতীয়করণের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় জনাব মামুনুর রশিদ খোকনের উপস্থিতিত্বে ও মহাসচিব ইকবালের ও সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ ফিরোজ উদ্দিন এর যৌথ উপস্থাপনায় আজকের এই অবস্থান কর্মসুচি। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে হাজার হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ অংশগ্রহন করেন।
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর সেই শিক্ষাদান করে থাকেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। অধিকার আদায়ে তারা সারা বছর রাজপথে আন্দোলন করে থাকেন, যা একটি দেশের জন্য কাম্য নয়। শিক্ষকদের দাবি ৯ জানুয়ারি ২০১৩ সনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষনা দিয়ে জাতির পিতার মত আরও একটি ইতিহাস রচনা করেন। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় যে, জাতীয়করণ কালীন ২৬.১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিসংখ্যান। করা হয়েছিল তার সংখ্যা যথাযথ না হওয়ায় জাতীয়করণ যোগ্য আরও কিছু সংখ্যক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত বিক্ষত করণ হতে বঞ্চিত হয়। ৩য় ধাপের বিদ্যালয়সমূহ জাতীয়করণের ক্ষেত্রে ২৭মে ২০১২ সনের পূর্বে স্থাপিত ও পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদনকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে। একই সম-পরিমান যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন কিছু কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায়, সকল শর্ত পূরণ করার পরেও ৪১৫৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। জাতীয়করণ কালীন সময়ে পাঠদানের অনুমতি ও রেজিট্রেশন এর কার্যক্রম স্থগিত রাখায় আমরা বেতন-ভাতা সুবিধা ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তি টিফিন থেকে বঞ্চিত হয় ।
আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ন কোনো প্রকার সহিংসতা বা কারো প্ররোচনায় নয়। আমরা দীর্ঘ বছরের পর বছর বিনা বেতনে বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠদান করে আসছি। অনেক শিক্ষক ইতিমধ্যে চাকরির বয়সসীমা হারিয়েছে । আমাদের সন্তানদের ও ভালো পোষাক কিনে নিতে পারিনা । বাবা-মায়ের অসুখে ডাক্তার খরচ যোগাতে পারিনা । মানবেতর জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে কেবল আমরা মানবতার মা জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের কথা গুলো তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ।
তিনি যদি ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা কে বুকে টেনে নিয়ে মায়ের মমতায় আশ্রয় দিয়ে ভরন পোষনের দায়িত্ব নিতে পারেন, নিজ অর্থায়নে পামেট্রোরেলের মত বড় বড় মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। তাহলে আর মাত্র ৪১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জারণ করে, এই অভিশপ্ত শিক্ষকদের জীবন থেকে দুঃখ কষ্ট মুক্ত করে দু-মুঠো ডাল-ভাতের সুযোগ সৃষ্টি করতে আস্থা ও ভরসার প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি শাহনাজ পারভীন, মোহাম্মাদ আলী লিটন, নাসির, মনি মোহন বসু, নূর ইসলাম, নিগার সুলতানা, আক্তারুজ্জামান রান্নান, শিখা, চাঁদ আলী, রফিকু সিদ্দিক, মতিন, তারে আমিনুর, বুলবুল, জ্যোতি ত্রিপুরা, মনির হোসেন, হাসিবুর, রাজিব আউয়াল, নিজান, সুমন, কহিনুর, দাউস, হাবিব, আইয়ুব আলী সোহাগ, সেলিম, সামসুদ্দিন, মাহবুবা মালা, বোরহান উদ্দিন, শাহ আলম, ফিরোজ, তাছলিমা, পতি, খোকন দাস, ধরনী মোহন, রক্ষক, আলামিন, রেজওয়ান মোঃ আতিক হাসান, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ মান্নান, জাকির, মুয়েল বাইরুল প্রমুখ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply